Murder Case

শোয়ার ঘর থেকে মিলল ঝুলন্ত দেহ, মালদহে পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ

স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েক মাস ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। স্বামীর সন্দেহ, স্ত্রীর অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। প্রতি দিন স্ত্রীর উপর শারীরিক অত্যাচার করতেন কালীচরণ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

মানিকচক শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:১১
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বিবাহ বর্হিভুত সম্পর্ক রয়েছে। এই সন্দেহে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মানিকচকের নুরপুর অঞ্চলের লালবাথানি নোয়াদা মহেশপুর এলাকায়। অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম নমিতা বসাক (২৮)। শনিবার শোবার ঘর থেকে তাঁর উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, তাঁদের জামাই কালীচরণ বসাক এবং তাঁর বাড়ির লোকজন মিলে খুন করেছেন মেয়েকে। খুনের পর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে। তার পর দেহ দড়িতে ঝুলিয়ে দিয়ে খুনকে আত্মহত্যার রূপ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত কালীচরণ এবং তাঁর বাড়ির কোনও সদস্যেরই দেখা মেলেনি। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই পলাতক।

বছর ১০ আগে পেশায় দিনমজুর কালীচরণের সঙ্গে বিয়ে হয় নমিতার। দম্পতির একটি দু’টি সন্তান রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েক মাস ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। স্বামীর সন্দেহ, স্ত্রীর অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। অভিযোগ, এ নিয়ে প্রায় প্রতি দিন স্ত্রীর উপর শারীরিক অত্যাচার করতেন কালীচরণ। এমনকি, স্বামী-স্ত্রীর এই গন্ডগোলের জন্য গ্রামে বেশ কয়েক বার সালিশিসভাও হয়। মৃতার মায়ের অভিযোগ, ‘‘বোনের কথায় স্ত্রীকে সন্দেহ করত জামাই। মেয়েকে প্রতিনিয়ত মারধরও করত ও। এমনকি, বেশ কিছু দিন আগে জামাই ওকে অন্যত্র বিয়ের দেবে বলে একটি কাগজে জোরপূর্বক সই করানোর চেষ্টা করে। তবে সই না করায় মেয়েকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।’’

Advertisement

নমিতার মা জানান, শনিবার সকালে লোকমুখে শোনেন তাঁর মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়েছেন। তিনি মেয়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় পান। তখন বাড়িতে জামাই বা পরিবারের অন্য কোনও সদস্য ছিলেন না। মহিলার দাবি, মেয়ের শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যরা জামাইয়ের সঙ্গে মিলে নমিতাকে খুন করেছেন। মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি করেন মহিলা। ইতিমধ্যে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ নিয়ে মানিকচক থানার আইসি পার্থসারথি হালদার বলেন, মৃত গৃহবধূর দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।।মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন