জাপান থেকে সাবেক ছিটে

প্রাথমিক ধারণা নিয়ে এক সপ্তাহের মাথায় দেশে ফিরে ফের গবেষণার জন্য আসতে চান তিনি। শুক্রবার কোচবিহারের এক অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৭ ০২:৪৪
Share:

ইন্টারনেটে সার্চ করতে গিয়ে জানতে পারেন সাবেক ছিটমহলের কথা। ভারত-বাংলাদেশের দুই দেশের মানচিত্রে ওই সব এলাকার সংযোজনের তথ্য। তাতেই এলাকা ঘুরে দেখতে কৌতূহলী হয়ে পড়েন। তা মেটাতেই সুদূর জাপান থেকে কোচবিহারে এসেছেন সেখানকার এক বাসিন্দা।

Advertisement

সাবেক ছিটের বিস্তীর্ণ এলাকায় যাবেন তিনি। পেশায় গবেষক কেনমে সুবোতা অর্থনীতি নিেয় পিইচডি করছেন। কেনমি সেদেশের ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপিং ইকোনমিক্সের সঙ্গে যুক্ত। কেনমি বলেন, “নানা কাজে আগেও বিভিন্ন দেশে গিয়েছি। ইন্টারনেট সার্চ করতে গিয়ে সাবেক ছিটমহল বিষয়টি জানতে পেরেছি। সেটা আমার কাছে ভীষণ আকর্ষক মনে হয়েছে। তাই দ্রুত সরেজমিনে দেখতে এসেছি।” প্রাথমিক ধারণা নিয়ে এক সপ্তাহের মাথায় দেশে ফিরে ফের গবেষণার জন্য আসতে চান তিনি। শুক্রবার কোচবিহারের এক অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।

প্রশাসন সূত্রের খবর, গবেষণা করতে চাইলে ওই ব্যক্তিকে ঊর্ধবতন কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিতে হবে। সে সব বিষয় তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলাশাসক চিরঞ্জীব ঘোষ বলেন, “গবেষণার জন্য নিয়ম মেনে ছাড়পত্র প্রয়োজন।” কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “প্রায় ছয় দশকের ছিটমহল সমস্যার সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশ্বের লোক আরও বেশি সেসব জানতে পারবেন। নিয়ম মেনে যাঁরা এ নিয়ে আগ্রহী হবেন তাদের গবেষণার ব্যাপারে আমাদের আপত্তির ব্যাপার নেই।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন