জোড়া: দম্পতির বাড়ির সামনে জটলা। নিজস্ব চিত্র
প্রৌঢ় দম্পতির দেহ উদ্ধার হল শিলিগুড়ির একটি বাড়ি থেকে। পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে গলায় দড়ি নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত ওই সরকারি কর্মী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধাননগরের টি অকশন রোডের বাড়িতে তাঁদের দেহ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রৌঢ়ের নাম নরেন কুন্ডু (৬২)। তাঁর স্ত্রীর নাম সন্ধ্যা কুন্ডু (৫৫)। শোয়ার ঘরের মেঝেতে সন্ধ্যাদেবীর দেহ পড়েছিল। তাঁর গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন মিলেছে। বসার ঘর থেকে নরেনবাবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার সময় সম্ভবত মহিলা পড়ে গিয়ে আহত হন বলে পুলিশের অনুমান।
মহিলার দেহের পাশে পড়ে থাকা একটি সুইসাইড নোটে লেখা ছিল- ‘স্ত্রীকে মেরে আত্মঘাতী হলাম। মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। কারণ অবশ্য লেখেননি। দম্পতির আত্মীয়দের সন্দেহ, লটারির নেশায় তিনি দেনায় ডুবেছিলেন। তা থেকে মুক্তি পেতেই ওই পথ বেছে নিয়েছেন।
অবসরের আগে নরেনবাবু চোপড়া ব্লক দফতরে কর্মরত ছিলেন। গত ছ’বছর ধরে প্রধাননগর এলাকায় বাড়ি ভাড়া করে থাকছিলেন তাঁরা। এ দিন বিকেল ৫টা নাগাদ পরিচারিকা কাজ করতে এসে ঘরের মধ্যে তাদের দেহ দেখতে পান।
দম্পতির জামাই শঙ্কর পাল জানান, শ্বশুরমশাইয়ের লটারির নেশা ছিল। অনেক পাওনা আছে বলতেন। কিন্তু এমনটা করবেন ভাবতেও পারছি না। ডিসি সংমিত লেপচা জানান, সুইসাইড নোটটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হচ্ছে।