শ্লীলতাহানি, বাবাকে খুন

রায়গঞ্জ থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস জানান, মৃতদেহটি রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। তাঁর দাবি, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানি ও খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে! অভিযুক্তরা সকলে পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

জমি নিয়ে বিবাদের জেরে মেয়েকে মারধর ও শ্লীলতাহানির হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে অভিযুক্তদের মারে বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার মহারাজা আদিয়ার গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রহিন মাহাতো (৫৫)। তিনি পেশায় চাষি। রবিবার মৃতের স্ত্রী মীনাদেবী মাহাতো তাঁদের প্রতিবেশী মহিন্দর মাহাতো, তাঁর স্ত্রী লালিয়া মাহাতো ও তাঁদের তিন ছেলে জয়লাল মাহাতো, সঞ্জীব মাহাতো ও জয়ন্ত মাহাতোর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

রায়গঞ্জ থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস জানান, মৃতদেহটি রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। তাঁর দাবি, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানি ও খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে! অভিযুক্তরা সকলে পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার একটি ১৫ কাটা কৃষিজমির অধিকার ও দখলের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে রহিন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মহিন্দর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের গোলমাল চলছিল। শনিবার সকালে রহিনের কিশোরী মেয়ে বাড়িতে একা ছিল! সেই সময় মহিন্দর, তাঁর স্ত্রী লালিয়া ও তাঁদের তিন ছেলে জয়লাল, সঞ্জীব ও জয়ন্ত রহিনের খোঁজে তাঁর বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ। সেই সময় তাঁরা রহিনকে না পেয়ে তাঁর মেয়েকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। মেয়ের চিত্কার শুনে রহিন বাইরে থেকে ছুটে এসে ঘরে ঢুকে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। সেই সময় মহিন্দর, লালিয়া, জয়লাল, সঞ্জীব ও জয়ন্ত মিলে রহিনকে বেধরক মারধর করেন বলে অভিযোগ। তাঁর মাথায় চোট লাগে। এরপর অভিযুক্তরা রহিনকে শ্বাসরোধ করে খুন করে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ।

Advertisement

মৃতের স্ত্রী মিনাদেবীর দাবি, ‘‘মহিন্দর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করছিলেন। ওই দিন ওঁরা আমার স্বামীকে না পেয়ে মেয়েকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করছিলেন। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়েই আমার স্বামীর মৃত্যু হল।’’

এই ঘটনায় এলাকার মানুষও ক্ষুব্ধ। তাঁরাও চান দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হোক। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে পুলি‌শ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন