দেশদ্রোহী নন, জানা গেল ১৩ বছর পর

ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ কালিয়াচক থানার পুলিশের সাহায্য নিয়ে ২০০৫ সালের ২০ মার্চ কালিয়াচকের একটি বাড়ি থেকে আয়াজ আহমেদ ওরফে মুসলিম চাচা ওরফে ইনকিলাব আহমেদকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১০
Share:

মালদহ জেলা আদালত।

দেশদ্রোহিতা ও ষড়যন্ত্রের মামলা থেকে রেহাই মিলল। কিন্তু পাকিস্তানের নাগরিক সন্দেহে ধৃত এক ব্যক্তিকে বৈদেশিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। মামলা চলার ১৩ বছর পর মালদহ জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্টের বিচারক রাজেশ তামাঙ্গ মঙ্গলবার আয়াজ আহমেদ ওরফে ‘মুসলিমচাচা’কে দোষী সাব্যস্ত করেন। আজ বুধবার সাজা শোনানো হবে।

Advertisement

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ কালিয়াচক থানার পুলিশের সাহায্য নিয়ে ২০০৫ সালের ২০ মার্চ কালিয়াচকের একটি বাড়ি থেকে আয়াজ আহমেদ ওরফে মুসলিম চাচা ওরফে ইনকিলাব আহমেদকে গ্রেফতার করে। সেদিনই কালিয়াচক থানায় তারা একটি মামলাও রুজু করেছিল। সেই অভিযোগে বলা হয়েছিল, আয়াজ পাকিস্তানের নাগরিক। বাড়ির ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল সে দেশের ভাওয়াল নগরের ফয়জল কলোনি, স্ট্রিট নম্বর ৪। আয়াজ আল বদর নামে একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর জন্য সদস্য সংগ্রহের কাজে কালিয়াচকে এসেছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ (বি), ১২১ (এ), ১২১ (২), ১২৪ এ এবং ১৪ বৈদেশিক আইন লঙ্ঘন আইনে মামলা রুজু করা হয়। কালিয়াচকের যে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সেই পরিবারের দুই সদস্য নাজির ও সোনু শেখের বিরুদ্ধেও তাঁকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য মামলা হয়। ২০১৫ সাল থেকে কালিয়াচক থানার মামলাগুলির বিচারপর্ব চলছিল মালদহের ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্টে। আয়াজের হয়ে কোনও আইনজীবী মামলা লড়তে রাজি না হওয়ায় জেলা লিগাল এইডের পক্ষ থেকে সুদীপ্ত গঙ্গোপাধ্যায়কে তাঁর হয়ে লড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সরকারি আইনজীবী ইকবাল আলম অবজা বলেন, ‘‘দেশদ্রোহিতা ও ষড়যন্ত্রের মামলা প্রমাণ না হওয়ায় বিচারক আয়াজ আহমদকে বেকসুর খালাস করেন।’’ ইকবাল বলেন, ‘‘কিন্তু বৈদেশিক আইন লঙ্ঘনের মামলায় বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেন। বুধবার সাজা শোনানো হবে।’’ কালিয়াচকের বাসিন্দা দুই আশ্রয়দাতাকেও এ দিন বেকসুর খালাস করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement