রায়গঞ্জেও শিশু-ধর্ষণ প্রতিবেশীর

পুলিশ জানিয়েছে, বিমলের স্ত্রী ও এক বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। শিশুকন্যাটি বিমলকে কাকু বলে ডাকত। শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ বিমলের ছেলের সঙ্গে খেলার জন্য তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল নির্যাতিতা শিশুটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৩৫
Share:

পুলিশের হেফাজতে বিমল। নিজস্ব চিত্র

সাড়ে তিন বছরের এক শিশু কন্যা ধর্ষণের শিকার হল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। অভিযুক্ত ওই শিশুটিরই প্রতিবেশী এক যুবক। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত বিমল মণ্ডল পেশায় হকার। বাড়ি রায়গঞ্জের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজি কলোনি এলাকায়। এখান থেকেই শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে জামিন অযোগ্য ৩৭৬ ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে। ধৃতকে শনিবার রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এ দিন দুপুরে উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ রায়গঞ্জ থানায় গিয়ে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। নির্যাতিতা শিশুর বাবা ও মায়ের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।

Advertisement

পরে তিনি বলেন, ‘‘শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। আদালতে নির্যাতিতা শিশুটির গোপন জবানবন্দির পেশ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুলিশ খুব দ্রুত আদালতে ওই মামলার চার্জশিট পেশ করবে।’’

বিমল অবশ্য দাবি করেছে, ওই শিশুটির পরিবারের লোকেরা দীর্ঘদিন ধরে তার বসত জমির একাংশ দখল করার চেষ্টা করছে। সে প্রতিবাদ করাতেই মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বিমলের স্ত্রী ও এক বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। শিশুকন্যাটি বিমলকে কাকু বলে ডাকত। শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ বিমলের ছেলের সঙ্গে খেলার জন্য তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল নির্যাতিতা শিশুটি। দুপুর দু’টো নাগাদ শিশুকন্যাটি বিমলের বাড়ির বারান্দায় বসে কান্নাকাটি করছিল। সেইসময় তার মায়ের সন্দেহ হয়। তিনি মেয়েকে কোলে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন! তিনি বলেন, ‘‘মেয়েকে যখন বাড়িতে নিয়ে আসি তখন যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। তখনই বুঝতে পারি। স্বামী বাড়িতে ফিরলে সব ঘটনা জানাই।’’

সন্ধ্যায় পেশায় টোটোচালক ওই শিশুকন্যার বাবা রায়গঞ্জের মহিলা থানায় বিমলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর রাতেই পুলিশ ওই শিশুকন্যাকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিত্সা ও ডাক্তারি পরীক্ষার পর রাত দু’টো নাগাদ শিশুকন্যাটিকে ছুটি দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই শিশুকন্যার বাবা বলেন, ‘‘পুলিশের দৃষ্টি ঘোরাতে বিমল আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন