নিচু প্ল্যাটফর্মে পড়ে গিয়ে জখম যুবক

ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতি পঞ্চায়েতের বালুপুর গ্রামের বাসিন্দা অরুণ পেশায় রং মিস্ত্রি। হাটে বাজার এক্সপ্রেসে করে কলকাতা যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে হাত ফসকে যায় তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫৬
Share:

প্ল্যাটফর্ম নিচুতে হওয়া দুর্ঘটনা বাড়ছে। নিজস্ব চিত্র

কোনও প্ল্যাটফর্ম এক ফুট। আবার কোনও প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দেড় ফুট। শুধু তাই নয়, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের মধ্যেও ফাঁক রয়েছে প্রায় দশ ইঞ্চি। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। রবিবার রাতেও চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন এক যুবক। ইংরেজবাজার ব্লকের বালুপুর গ্রামের বাসিন্দা অরুণ চৌধুরী মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি।

Advertisement

এই অব্যবস্থার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে দুষছেন যাত্রীরা। মালদহ ডিভিশনের এডিআরএম বিজয় সাহু বলেন, “স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। এ ছাড়া ট্রেনে ওঠার ক্ষেত্রে যাত্রীদের সচেতন হতে হবে। চলন্ত ট্রেনে যাতে কম উঠতে হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।”

ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতি পঞ্চায়েতের বালুপুর গ্রামের বাসিন্দা অরুণ পেশায় রং মিস্ত্রি। হাটে বাজার এক্সপ্রেসে করে কলকাতা যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে হাত ফসকে যায় তাঁর। তার পরেই তিনি ট্রেনের পাদানি আঁকড়ে ধরে স্টেশন থেকে প্রায় ২০ মিটার দূরে চলে যান। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রেল পুলিশ ভর্তি করে হাসপাতালে। অরুণ বলেন, “এক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল ট্রেনটি। ওই ট্রেনেই আমার এক সহকর্মী ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতে ট্রেনের দিকে ছুটছিলাম। রেল পুলিশ আমাকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। ট্রেনটি ছাড়লে আমাকে তখন ছেড়ে দেওয়া হয়।” রেল পুলিশ অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মালদহ টাউন স্টেশনে ৩৩ জোড়া মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন চলে। সাত জোড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেন। প্রায় ৩০ হাজার রেলযাত্রী রোজ স্টেশনটি ব্যবহার করেন। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন যাত্রীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement