আম-উৎসবে অভিনেত্রী চান্দ্রেয়ী ঘোষ। শুক্রবার শিলিগুড়িতে সন্দীপ পালের তোলা ছবি।
আম্রপালি, গুলাবখাস, এনায়েতপসন্দ, মল্লিকা, চম্পা, রানীপসন্দ, বেগমখাস, নবাবপসন্দ, সূর্যমুখী, বিশ্বনাথ, চিন্তামণি, লক্ষ্মীভোগ, রাখালভোগ, ছত্তর, কালাপাহাড়, জাহানারার মত একটু অপ্রচলিত আম তো আছেই, সেই সঙ্গে, ল্যাংড়া, ফজলি, হিমসাগর, লক্ষ্মণভোগ, আশ্বিনা, গুটি, চৌসাও রয়েছে স্বমহিমায়। রূপে, রঙে, স্বাদে ও গন্ধে ৫১টি প্রজাতির আম নিয়ে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি শপিং মলে শুরু হল আম উৎসব। শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে রবিবার পর্যন্ত এই উৎসব চলবে বলে জানা গিয়েছে।
এই উৎসবের উদ্যোক্তা শিলিগুড়ির একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জাতীয় ফলের বিভিন্ন প্রজাতি নিয়ে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে। এ দিন উৎসবের সূচনা করেন লেখক রাজেন বালি। উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী চান্দ্রেয়ী ঘোষ।
রাজ্যের আম উৎপাদনকারী ৮টি জেলা থেকে চাষিরা হাজির ছিলেন রকমারি আমের সম্ভার নিয়ে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান, উত্তর চব্বিশ পরগণা, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, নদিয়া, উত্তর দিনাজপুরের আমের স্টল রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায় মুর্শিদাবাদের স্টলেই।
মুর্শিদাবাদের প্রবীণ আম চাষি মহম্মদ ওয়াসেদ আলি জানান, বেগম পসন্দ আম কটায় পাকবে তা জানতে হয়। পাকার ১০ মিনিটের মধ্যে না খেলে তার স্বাদ আর তেমন থাকবে না বলে জানান তিনি। রাত ২ টোতেও নবাব খারদুঞ্জা আম বাগানে যেতে রাজি ছিলেন আমের স্বাদ নেওয়ার জন্য। আবার রহিস মির্জার বাগানে দেড়শো প্রজাতির আমের গাছ ছিল। যা পরে মালিকানা বদল হয়ে খ্রীষ্টান মিশনারিদের হাতে চলে যায়। তবু সেই বাগানে এখনও ১০৮ প্রজাতির আম গাছ রয়েছে। প্রদর্শনীতে গেলে আমের দর্শনের পাশাপাশি মিলবে এমন অনেক তথ্যই। উদ্যোক্তাদের পক্ষে রাজ বসু বলেন, ‘‘আম ছাড়াও আমেরক বিভিন্ন পণ্যও রাখা হয়েছে প্রদর্শনীতে। কীভাবে তা তৈরি হয় তা ও উৎসাহীদের জানানো হবে।’’ প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।