Leopard

Leopard: চিতাবাঘের মাংসের ভাগিদার অনেকেই! প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে বন দফতর

তবে চিতাবাঘটিকে মারা হয়েছে না কি ‘মৃত’ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তা এখনও নির্দিষ্ট ভাবে জানতে পারেননি তদন্তকারীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২২ ১৫:০২
Share:

নেটমাধ্য়মে ছড়িয়ে পড়া মৃত চিতাবাঘের সেই ছবি। ছবি: সংগৃহীত।

চিতাবাঘের মাংস রান্না করে খাওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত অনেকেই। প্রাথমিক তদন্তে এমনই তথ্য মিলেছে বলে বন দফতর সূত্রের খবর।

ঘটনাস্থল, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের কমলা চা বাগানের রায় লাইন। অভিযোগ, সপ্তাহ দেড়েক আগে কয়েকজন মৃত চিতাবাঘের সাথে ছবি তুলে স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয় সেই ছবি। ওই চিতাবাঘের চামড়া পাচারের আগে সীমা সুরক্ষা বাহিনী (এসএসবি) ঘোষপুকুর রেঞ্জের বনকর্মীদের যৌথ অভিযানে চামড়া সমেত দুজনকে আটক করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও এক জনের হদিশ মেলে। তাঁকেও গ্রেফতার করে বন দফতর।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, চিতা বাঘের মাংস রান্না করে সেদিন ভোজ চলেছিল চা বাগান এলাকায়। শুধু গ্রেফতার হওয়া তিন যুবক নয় , গ্রামের অন্য অনেকেই খেয়েছিলেন চিতাবাঘের মাংস। কিন্তু এখন এ বিষয়ে গোটা গ্রাম নিশ্চুপ। বন দফতরের ঘোষপুকুর রেঞ্জের প্রধান সোনম ভুটিয়া জানান , ধৃত তিনজনকে শনিবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে , চিাবাঘের মাংস রান্না করে গ্রামের অনেকেই ভোজে অংশগ্রহণ করেছে। কয়েকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

তবে চিতাবাঘটিকে মারা হয়েছে না কি ‘মৃত’ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তা এখনও নির্দিষ্ট ভাবে জানতে পারেননি তদন্তকারীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র বিশেষ দল গঠনের কথা চলছে বলে জানান সোনা। চিতাবাঘের চামড়াটি পরীক্ষার জন্য কলকাতার নিউ আলিপুরে জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া-র সদর দফতরে পাঠানো হচ্ছে।

Advertisement

ধৃত তাপস খুড়া শনিবার বলেন, আমি মালবাজারের বাসিন্দা। এখানে মাসির বাড়িতে ঘুরতে এসেছিলাম। ঘটনার কিছুই জানি না।’’ আর এক মুকেশ কেরকাট্টা বলেন, ‘‘ মৃত চিতাবাঘের মাংস গ্রামের অনেকেই খেয়েছে কিন্তু আমরা খাইনি। একই বক্তব্য তৃতীয় ধৃত পিতালুশ কেরকাট্টার। তাঁর দাবি, তাঁরা চিতাবাঘের চামড়া বন দফতরের হাতেই তুলে দিতে চাইছিলেন!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন