ভাসাল করলা, ঘরছাড়া অনেকে

শনিবার রাত থেকেই পাহাড় ও সমতলে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছিল৷ টানা বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়ি শহরের কংগ্রেস পাড়া, মহামায়া পাড়া, নিউটাউন এলাকার একাংশ রবিবার সকাল থেকেই জলমগ্ন হতে শুরু করে। তার পরে বৃষ্টি থেমে গেলেও অনেক এলাকাতেই জল নামেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৭ ০৩:২৮
Share:

জলমগ্ন: করলা নদীর জল উপচে ঢুকে পড়ল জলপাইগুড়ির দিনবাজার এলাকায়। ছবি: সন্দীপ পাল

দিনভর শহরের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন ছিল। তার উপরে তিস্তা ব্যারাজ থেকে ছাড়া হয় প্রায় ১৯২৯ কিউমেক জল ছাড়া হয়। এর ফলে জল বাড়তে শুরু করে করলা নদীতে। রাতে সেই জল প্রথমে কূল ছাপিয়ে ঢুকতে শুরু করে দিনবাজারে। তার পরে দেখা যায়, শহরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পরেশ মিত্র কলোনির অনেকটাই প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। সেখানকার মানুষ পাশের উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন।

Advertisement

শনিবার রাত থেকেই পাহাড় ও সমতলে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছিল৷ টানা বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়ি শহরের কংগ্রেস পাড়া, মহামায়া পাড়া, নিউটাউন এলাকার একাংশ রবিবার সকাল থেকেই জলমগ্ন হতে শুরু করে। তার পরে বৃষ্টি থেমে গেলেও অনেক এলাকাতেই জল নামেনি। এর মধ্যেই তিস্তা ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়। তারও কারণ রয়েছে। নাগাড়ে বৃষ্টিতে তিস্তা ফুলেফেঁপে উঠেছিল। জল ছাড়ার ফলে করলার চেহারাও বদলে যায়। দিনবাজারের মাছ ও আনাজ বাজারে জলে ডুবে যায়। পরেশ মিত্র কলোনির নিচু এলাকাতেও ততক্ষণে জল বাড়তে শুরু করেছে। প্রচুর মানুষ উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বেরোন স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলর পরিমল মালোদাস। পরে তিনি বলেন, ‘‘কেউ গাড়ির উপরে বসে আছেন। কেউ বা রয়েছেন তাঁবু খাটিয়ে৷ ত্রাণের ব্যবস্থা করতে বলেছি পুরসভাকে।’’

এ দিকে সেচ দফতর সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে তিস্তার জল কমছে৷ জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু জানিয়েছেন, তার কাছেও খবর রয়েছে তিস্তার জল কমছে৷ তবে তিনি এ-ও বলেন, কেউ জলমগ্ন হয়ে থাকলে পুরসভার তরফে অবশ্যই পর্যাপ্ত ত্রাণ তার কাছে পৌঁছবে৷

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন