খুনের পরে ঘর ভাড়া নিয়েই প্রশ্ন

বাড়তি টাকার বিনিময়ে পরিচয়পত্র ছাড়াই বহিরাগতদের ভাড়া দেওয়া হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের জন্য তৈরি হওয়া অতিথি নিবাসের ঘর। রবিবার রাতে মহিলাকে খুনের ঘটনার পর এমনই অভিযোগ উঠছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে থাকা ইংরেজবাজার পুরসভার অতিথি নিবাস ঘিরে।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা

মালদহ শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৩
Share:

বাড়তি টাকার বিনিময়ে পরিচয়পত্র ছাড়াই বহিরাগতদের ভাড়া দেওয়া হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের জন্য তৈরি হওয়া অতিথি নিবাসের ঘর। রবিবার রাতে মহিলাকে খুনের ঘটনার পর এমনই অভিযোগ উঠছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে থাকা ইংরেজবাজার পুরসভার অতিথি নিবাস ঘিরে।

Advertisement

শুধু তাই নয়, গেস্ট হাউসের ঘর ভাড়া নিয়ে নানান অসামাজিক কাজকর্ম চলছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সে জন্য পুরসভা ও পুলিশ প্রশাসনের নজরদারিকে দায়ী করেছেন সাধারণ মানুষ।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে ইংরেজবাজার পুরসভার উদ্যোগে চারতলা অতিথি নিবাস তৈরি করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় দোকান এবং তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় রোগীর আত্মীয়দের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। তৃতীয় তলায় প্রায় ১০০টি শয্যা রয়েছে। চতুর্থ তলায় সাতটি ঘরে রয়েছে ৪৮টি শয্যা। এই ঘর ভাড়া দেওয়া নিয়েই উঠছে নানান অভিযোগ।

Advertisement

রবিবার রাতে গেস্ট হাউসের চতুর্থ তলার একটি ঘরে ইংরেজবাজারের মালঞ্চপল্লি এলাকার বাসিন্দা মনা দাস নামে এক মহিলা খুন হন। তাঁকে তাঁর স্বামী চণ্ডী দাস-ই খুন করেছেন বলে অভিযোগ পরিবারের। দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে তাঁদের পরিবারে। পুত্রবধূকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে তিন মাস জেলও খেটেছে চণ্ডী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে সেই সময় ছেলে ও বৌমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মনাদেবী। যার জন্য এ দিন তাঁকে গেস্টহাউসে ডেকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। ঘটনার পর থেকে ফেরার অভিযুক্ত চণ্ডী।

রোগীর আত্মীয়দের জন্য গেস্ট হাউসের ঘর ভাড়া দেওয়ার কথা থাকলেও কেন স্থানীয় বাসিন্দাকে ঘর ভাড়া দেওয়া হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘরগুলি বাইরের লোকেদের ৮০০ থেকে ১০০০ টাকার বিনিময়ে ভাড়া দেওয়া হয়। এমনকী, পরিচয়পত্র ছাড়াই ভাড়া দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই গেস্ট হাউসে আসা রোগীর আত্মীয় পরিজনদের একাংশ। তাঁরা বলেন, ‘‘গেস্ট হাউসের ঘরে এ ভাবে কেউ খুন হয়ে যেতে পারেন ভাবতেই পারছি না।’’ পুরসভার এই গেস্ট হাউসটি যিনি ৩০ বছরের জন্য লিজ নিয়েছেন, সেই রঞ্জিত দাস বলেন, ‘‘অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা সমস্ত নিয়ম মেনে গেস্ট হাউস চালাচ্ছি।’’

পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঘটনার পাশাপাশি গেস্ট হাউসের বিষয়টি নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘অতিথি নিবাসের মালিকদের শো-কজ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন