হারলেন বিগত বোর্ডের অনেক কাউন্সিলরই

বিগত পুরবোর্ডে ডেপুটি মেয়র ছিলেন। সেবার কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন। সম্প্রতি দল ছেড়ে বিজেপি যোগ দেন। এ বার বিজেপি’র হয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শিলিগুড়ি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সেই প্রার্থী সবিতা দেবী অগ্রবালকে হারতে হল। তাঁর মতো বিগত পুরবোর্ডের অনেক কাউন্সিলরই এ দিন গণনা কেন্দ্র থেকে শুকনো মুখে ফিরেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৩৯
Share:

বিগত পুরবোর্ডে ডেপুটি মেয়র ছিলেন। সেবার কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন। সম্প্রতি দল ছেড়ে বিজেপি যোগ দেন। এ বার বিজেপি’র হয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শিলিগুড়ি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সেই প্রার্থী সবিতা দেবী অগ্রবালকে হারতে হল। তাঁর মতো বিগত পুরবোর্ডের অনেক কাউন্সিলরই এ দিন গণনা কেন্দ্র থেকে শুকনো মুখে ফিরেছেন।

Advertisement

তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর মৈত্রেয়ী চক্রবর্তী, জয়দীপ নন্দী, সমীরণ সূত্রধরের মতো ব্যক্তিও। মৈত্রেয়ী দেবী কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের পুরবোর্ডে স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদছিলেন। সমীরণবাবু ৪ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান ছিলেন। এ বার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সিপিএমের অসীম সাহা তাঁকে হারিয়েদিয়েছেন। অতীতে একসময় কাউন্সিলর ছিলেন তৃণমূলের প্রবীণ নেতা প্রতুল চক্রবতী। এ বছর প্রথম কাউন্সিলর পদে লড়ে তাকে হারিয়ে দিয়েছেন সিপিএমের প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শুরুতে জয় নিশ্চিত হতে গণনা কেন্দ্রেই উচ্চ্বাসে ফেটে পড়েন শঙ্করবাবু। সবিতা দেবী এ দিন বলেন, ‘‘কেন হারতে হল তা খতিয়ে দেখতে হবে। কোথাও খামতি নিশ্চয়ই ছিল।’’

বিগত বোর্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রকাশ চন্দ্র দাস এ বার হেরেগিয়েছেন। দল তাকে ৩২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে টিকিট না দেওয়ায় তিনি দল ছেড়ে কংগ্রেস য়োগ দেন। কংগ্রেসের হয়ে ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছিলেন। কংগ্রেসের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ শিখা রায়ও হেরে গিয়েছেন। ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে।

Advertisement

তৃণমূলের টিকিটে লড়ে ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে হারতে হয়েছে সঞ্জয় পাঠককে। গত নিবার্চনে ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে তিনি মেয়র পারিষদ হয়েছিল। বস্তিউন্নয়ন, বিল্ডিং বিভাগের দায়িত্ব সামলেছেন। হেরেগিয়েছেন কংগ্রেসের অপর বিদায়ী মেয়র পারিষদ স্বপন চন্দ, রুমা নাথ এবং পম্পা অধিকারীরা। রুমা দেবী বলেন, ‘‘আমরা কাজ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতায় কাজ করতে পারিনি সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই হারতে হল।’’

তবে শুধু তৃণমূল বা কংগ্রেসের বাদিয়ী কাউন্সিলরদের একাংসই নয়। হারতে হয়েছে সিপিএমের দুই বিদায়ীকাউন্সিলরকেও। তাঁরা হলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শালিনী ডালমিয়া এবং মায়া পাসোয়ান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement