ডিম ভাত নেই, ত্রিপল নিয়ে বাড়ি

সভা শেষ হওয়ার পরে যখন আরও অন্তত হাজার পাঁচেক তৃণমূল কর্মী কুপন হাতে সেখানে গিয়ে পৌঁছলেন, তখন খাবার একরকম শেষ। বেশিরভাগই আর ডিম পাননি।

Advertisement

জয়ন্ত সেন

মালদহ শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:০৪
Share:

ফেরা: খাবার না পেয়ে হাতে বাটি নিয়েই ফিরছেন তৃণমূলের কর্মী। নিজস্ব চিত্র

বুথস্তরের কর্মীদের নিয়ে সভায় উপস্থিত দলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সী ও মালদহ জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। ভিড় উপছে পড়ল সেখানে। তার কাছেই তৈরি হয়েছিল খাবারের জন্য অনেকগুলো কাউন্টার। সেখানে পাওয়া যাচ্ছিল ডিমের ঝোল ভাত। সেখানে বেলা বারোটা থেকেই তৃণমূল কর্মীদের ভিড় ছিল। সেই ভিড় সামাল দিতে সভা চলাকালীনই খাবার দেওয়াও শুরু হয়ে যায়। তৃণমূল কর্মীদের কুপন দেওয়া হয়েছিল। তা হাতে নিয়ে তাঁরা লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার ভর্তি থালা নিয়ে খেতে শুরু করে দেন। থালায় ছিল ভাত, একটি করে ডিম, একটি করে আলু আর ঝোল।

Advertisement

সভা শেষ হওয়ার পরে যখন আরও অন্তত হাজার পাঁচেক তৃণমূল কর্মী কুপন হাতে সেখানে গিয়ে পৌঁছলেন, তখন খাবার একরকম শেষ। বেশিরভাগই আর ডিম পাননি। ঝোল দিয়ে ভাত মেখে খেয়েছেন। আবার কেউ কেউ শুধু ঝোলই পেয়েছেন।

তাতে মালদহের অনেক তৃণমূল কর্মী হাতের কাছে যে প্লাস্টিকের বাটি পেয়েছেন, তাই নিয়েই চলে গিয়েছেন। কেউ কেউ মাটিতে পাতা ত্রিপল পর্যন্ত তুলে নিয়ে গিয়েছেন। তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকারের দাবি, ‘‘যত লোক হবে বলে ভাবা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশিজন এসেছিলেন। তাই খাবার কম পড়েছে।’’

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে এ দিন পুরাতন মালদহের নারায়ণপুর মিশন রোড এলাকায় জেলা স্তরের বুথ কর্মী সমাবেশ ছিল তৃণমূলের। বেলা ১১টায় সমাবেশের কাজ শুরু হয়ে যায়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস, ট্রাক, ছোট গাড়ি করে কর্মীরা আসেন। সমাবেশের মঞ্চে জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি ছিলেন সুব্রত বক্সী, শুভেন্দু অধিকারী, মত্সমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, দুই রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা ও জাকির হোসেন প্রমুখ। ভাষণ দিতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, এ বারের পঞ্চায়েত ভোট আমরা সুব্রত বক্সীর নেতৃত্বে বুঝে নেব। দিদির ডাক এসেছে ভারতে নেতৃত্ব দেওয়ার। কেননা, কেন্দ্রে বিজেপির নেতৃত্বে জনবিরোধী সরকার চলবে না।

বিজেপির বিরুদ্ধে এখন থেকে প্রতি শনি ও রবিবার করে বুথে বুথে মিছিল-মিটিং করারও ডাক দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে উন্নয়নই আমাদের স্লোগান। দোলের পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের কাছে সেই উন্নয়নের কথাই বোঝাতে হবে।’’

জেলা নেতৃত্বদের দাবি, এদিনের সভায় ৩০ হাজারেরও বেশি কর্মী হাজির হয়েছিলেন। তবে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হিসেব অনুযায়ী সভায় লোক হয়েছিল প্রায় ২০ হাজার। জেলার ১৫টি ব্লক থেকেই কর্মী সমর্থকেরা হাজির হয়েছিলেন। প্রায় ৪০০ গাড়ি কর্মীদের যাতায়াতের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এ দিনের তৃণমূলের সভা থাকলেও নজর ছিল বিরোধী সব দলেরই। কংগ্রেস জেলার কর্মীদের নিয়ে পাল্টা সভা করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে। একই পথে হাঁটছে জেলা বিজেপিও।

কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌসম নূর বলেন, “তৃণমূলকে নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। কারণ তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন