প্রস্তাব: বাজেট বৈঠকে মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যে যে কয়েকটি শহরে জনসংখ্যা দ্রুত হারে বেড়ে উঠছে তার মধ্যে শিলিগুড়ি অন্যতম। যানবাহন বৃদ্ধির হার মাত্রাতিরিক্ত। ভবিষ্যতে যাতায়াতের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকলে শহর যে বদ্ধ হয়ে পড়বে তা উপলব্ধি করছেন পুর কর্তৃপক্ষও। শনিবার শিলিগুড়ি পুরসভার নতুন আর্থিক বছরের বাজেট প্রস্তাবে সে কারণে শহরে মেট্ররেল চালুর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘শহরে মেট্রো রেল ব্যবস্থা চালু করতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রেলমন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হোক। আমরা তা বাজেট প্রস্তাবেও রেখেছি।’’
বস্তুত, এর আগে কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা সুজয় ঘটকের তরফেও রেলের নিউ জলপাইগুড়ির এরিয়া ম্যানেজারের দফতরের মাধ্যমে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে শিলিগুড়িতে মেট্রো রেল চালুর ব্যবস্থা করতে আবেদন জানানো হয়। গত নভেম্বর মাসে এরিয়া ম্যানেজারের দফতর থেকে রেল বোর্ডের কাছে তা পাঠিয়েও দেওয়াও হয়েছে। সুজয়বাবুর কথায়, ‘‘ভবিষ্যতের কথা ভেবে মেট্রোর মতো যাতায়াত ব্যবস্থা দরকার।’’ বিজেপি কাউন্সিলর মালতি রায়ও বলেন, ‘‘বাজেটে যা বলা হচ্ছে সেটা হোক আমরা চাই।’’
তবে মেট্রো চান জানিয়েও মেয়রকে বিঁধতে ছাড়েননি পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন সরকার। তাঁর কথায়, ‘‘মেট্রো আমরাও চাই। তবে মেয়রের শহরের উন্নয়নে যে কাজ করার আছে সেটা উনি আগে করুন।’’
এ দিন ২০১৭-২০১৮ আর্থিক বছরের জন্য ২৩৩ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা আয় এবং ২৩৫ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব রেখে ২ কোটি ২২ লক্ষ টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ করেন মেয়র। পুরসভার আয় বাড়াতে বেসরকারি স্কুল-কলেজের বাস থেকে মাসে ৫০০ টাকা জঞ্জাল ফি, মাল তোলা এবং খালাস করার কাজে ট্রাকের উপর টোল সংগ্রহের প্রস্তাব দিয়েছেন। হোটেল ও লজগুলোতে ‘স্টে ট্যাক্স’ ২ টাকা থেকে ৫ টাকা করার, পানীয় জলের ট্যাঙ্ক এবং সেস পুলের ফি কিছুটা বৃদ্ধি করার প্রস্তাবও রয়েছে। বলা হয়েছে, শহরের প্রতিটি নার্সিংহোম, বড় মল, বেসরকারি স্কুল থেকে জজ্ঞাল ফি নেওয়া হবে। বৃহৎ অ্যাপার্টমেন্ট হাউজ এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পানীয় জলের সংযোগ ফি ২০ শতাংশ বৃদ্ধি এবং পরিকাঠামো ফি সংগ্রহ করা হবে। সোমবার বাজেট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা এবং তা পাশ করতে সভা ডাকা হয়েছে।