এই সাইনবোর্ড ঘিরেই বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র।
পদই নেই, অথচ নেমপ্লেটে জ্বলজ্বল করছে পদাধিকারীর দাবি।
ওষুধের দোকানের বোর্ডে চিকিৎসকের নামের পাশে লেখা হেড অফ সিসিইউ। অথচ হাসপাতালে ওই নামে কোনও পদ নেই। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের এক জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক। জেলা হাসপাতালের সাধারণ এমবিবিএস চিকিৎকের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করে লিফলেট বিলি ও বোর্ড লাগানোয় তদন্ত দাবি করেছে অভিভাবক মঞ্চ।
আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম বলেন, “চিকিৎসক সোমশুভ্র চেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে বিষয়টি পাঠাব।”
হাসপাতালের সুপার চিন্ময় বর্মন বলেন, “আমাদের কাছে তাঁর এমবিবিএস ডিগ্রির জানান রয়েছে। উনি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। কিন্তু হেড অফ ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট কোনও ভাবেই নন। ওই নামে কোনও পদই নেই। ওই ইউনিটের দায়িত্বে রয়েছেন চিকিৎক মাতণ্ড মণ্ডল। সোমশুভ্রবাবুর সার্ভিস রেকর্ডে উনি কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নন।”
হাসপাতালের হাঁটা দূরত্বে একটি ওষুধের দোকানের বোর্ডে চিকিৎসক সোমশুভ্র চেলের নামের পাশে লেখা রয়েছে হেড অফ সিসিইউ। তা ছাড়া বিভিন্ন দেশের নানা ডিগ্রি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎকদের একট বড় অংশ বিষয়টি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। আইএমএর আলিপুরদুয়ার শাখার সম্পাদক যুধিষ্ঠির দাস বলেন, “ওই চিকিৎসকের বিলি করা লিফলেট দেখেছি। কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখছি।”
অভিযোগকারী অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “ওঁর নামের পাশে বিভিন্ন দেশের ডিগ্রি তো আছেই, পাশাপাশি তিনি বিচিত্র রোগের চিকিৎসা করেন বলে দাবি করা হয়েছে প্রচার পত্র ও ওষুধের দোকানগুলিতে। এতে দূরদূরান্তের রোগীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন।” অভিযুক্ত সোমশুভ্রবাবুর সঙ্গে ফোনে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
সরকারি আইনজীবী জহর মজুমদার বলেন, “বিষয়টি আইনত দণ্ডনীয়।’’