বিসর্জনে মাতেন আনোয়ার, মফিকুলরা

রাজ্য সরকার মহরমের দিন বিসর্জনের না করেছে? প্রশ্ন করতেই মতিউর রহমান জানান পাটকা পাড়ায় মহরমের কাজিয়া বের হয় না। বির্সজনেই সামিল হন সব ধর্মের মানুষ। শনিবার দিনভর বৃষ্টি ছিল। তাই রবিবার দুপুরে বির্সজনের বিষয় সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেন।

Advertisement

নারায়ণ দে

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৭ ০৭:৫০
Share:

সম্প্রীতি: আলিপুরদুয়ারে পাটকাপাড়ায় দুর্গাপুজোর বিসর্জনে সামিল হন সব ধর্মের মানুষ।—নিজস্ব চিত্র।

মণ্ডপের সামনে রীতিমতো বির্সজনের জন্য প্রস্তুত হয়ে এসেছিল আনোয়ার রহমান, মফিকুল ইসলামরা। মা দুর্গার পায়ের সিঁদুর নিয়ে বন্ধু আনোয়াররের মুখে মাখিয়ে দিল বাবুয়া সাহা, রণজিৎ সাহারা। এ ভাবে মহরমের দিন সম্প্রীতির বির্সজনে সামিল হলেন পাটাপাড়ার দুর্গা পুজো কমিটির সমস্ত সদস্য। রবিবার দুপুরে স্থায়ী মন্দিরের অদূরে বসে পুরো বির্সজনের জোগাড়ে নজর রাখছিলেন মতিউর রহমান। মতিউরবাবু দীর্ঘ দিন ধরে পুজো কমিটির সঙ্গে যুক্ত। তিনি জানান এই মন্দিরের পুজোতে সর্ব ধর্মের মানুষ সামিল হন। জাতপাতের কোন বিষয় নেই।

Advertisement

তবে রাজ্য সরকার মহরমের দিন বিসর্জনের না করেছে? প্রশ্ন করতেই মতিউর রহমান জানান পাটকা পাড়ায় মহরমের কাজিয়া বের হয় না। বির্সজনেই সামিল হন সব ধর্মের মানুষ। শনিবার দিনভর বৃষ্টি ছিল। তাই রবিবার দুপুরে বির্সজনের বিষয় সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেন।

আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ জানান, গ্রামের ছোট পুজোর বির্সজন হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি।

Advertisement

পাটকা পাড়া পুজো কমিটির তরফে, রণজিৎ সাহা, বাবুয়া সাহারা জানান, পুজোটি ৬৯ বছরে পড়েছে। স্থায়ী মন্দিরে হয়। তাই প্রশাসনের আলাদা অনুমতি নেওয়া হয়না। গ্রামের পুজো, বছরে একবার সবাই আনন্দ করে। শনিবার বৃষ্টি ছিল তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে রবিবার দুপুরে বিসর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আনোয়ার রহমান মফিকুল ইসলামরা জানান, বছরে এই একটি দিনের জন্য গ্রামের ছোট বড় সবাই অপেক্ষা করি। সবাই মিলে আনন্দ করে মিষ্টি মুখ করি। কোনও ভেদ থাকে না। এদিন পাটকাপাড়া চাবাগান এলাকার একটি পুজো, বঞ্চুকামারী এলাকার একটি পুজো ও এলিপুরদুয়ার জংশন এলাকার একটি পুজোর বির্সজন হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement