চর দখলের চেষ্টায় অবৈধ ভাবে বালাসন নদীর মাঝে বাঁধ দেওয়া অভিযোগ উঠেছিল মাটিগাড়ার শিশাবাড়ি এলাকায়। সে কারণে নদীর জল ঘুরে ওই এলাকায় ভাঙতে শুরু হয়েছে গত বছর থেকেই। অবৈধ বাঁধের একাংশ ভেঙে দেওয়া হলেও এখনও সম্পূর্ণ সরানো হয়নি। তা ছাড়া ভাঙনে চৈতন্যপুর, রঙিয়া গ্রামের ঘরবাড়ি নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। এলাকার একটি শ্মশান, মউরিয়া বাজার বিপন্ন। সমস্যা সমাধানের দাবিতে সোমবার মাটিগড়ার বিডিও অফিসে স্মারকলিপি দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় কংগ্রেস নেতৃত্ব। সঠিক জায়গায় বাঁধ নির্মাণের দাবি তুলেছেন বাসিন্দারাও।
কংগ্রেসের অভিযোগ, গত এক বছর ধরে বারবার অবৈধ ওই বাঁধ সরাতে বলা হয়েছে প্রশাসনকে। অথচ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন ভাঙনে এলাকার একাংশ বিপন্ন। মাটিগাড়ার বিডিও দীপান্বিতা পাত্র বলেন, ‘‘অবৈধ ওই বাঁধের বিষয়টি খতিয়ে দেখে সেচ দফতরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। ভাঙন রোধেও যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে।’’
এ দিন এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে সমস্যা সমাধানের দাবিতে বিডিও অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস নেতৃত্ব। মাটিগাড়া ব্লক কংগ্রেস নেতৃত্বের অন্যতম বাবলু সরকার বলেন, ‘‘ভাঙনে অনেক পরিবার পথে বসেছে। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে। তা ছাড়া ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। শিশাবাড়ির নিমাইমৌজায় শ্মশানের ঘর তলিয়ে যেতে বসেছে। চৈতন্যপুর, রঙিয়া এলাকাতেও নদীর ধারে থাকা অনেক বাড়ি ভাঙনের কবলে পড়তে চলেছে। ওই অংশে বাঁধ তৈরি জরুরি।’’
এলাকার বাসিন্দা হেমন্ত বর্মন, মনিকা পাল, মধু বর্মনদের অভিযোগ, ভাঙনে এলাকার একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রও বিপন্ন। প্রায় শতাধিক পরিবার দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। এলাকায় পানীয় জলের সমস্যাও রয়েছে। ব্লক প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাঁদের দুর্ভোগে পড়তে হবে। পানীয় জলের সমস্যার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে ব্লক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।