জেলায় কাজ ‘মেলেনি’, চিন্তা ফেরার

লকডাউনের জেরে ২৮ মে বাড়ি ফিরে এলাকার একটি মাঠে ‘কোয়রান্টিনে’ ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২০ ০২:১৭
Share:

ফাইল চিত্র

রায়গঞ্জ ব্লকের রায়পুর এলাকার বাসিন্দা কাজল পূজর, মাধবী পূজর, মেনকা পূজর ও কালামনি পূজর। একই পরিবারের ওই চার জন গুজরাতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। লকডাউনের জেরে ২৮ মে বাড়ি ফিরে এলাকার একটি মাঠে ‘কোয়রান্টিনে’ ছিলেন।
তাঁদের বক্তব্য, নিজের এলাকায় নিয়মিত কাজ মেলে না। তাই মাসছয়েক আগে এক ঠিকাদারের পরামর্শে গুজরাতে গিয়ে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে যোগ দেন। সেখানে প্রতি দিন ৫০০-৬০০ টাকা রোজগার হত। বাড়ি ফেরার পর থেকে কর্মহীন। পড়ছেন আর্থিক সঙ্কটে। তাই ফের গুজরাতে ফেরার ভাবনা রয়েছে সকলের।
করণদিঘি ব্লকের রুদেল এলাকার মহম্মদ কায়সার আলি দিল্লিতে পাঁপড় কারখানা ও ইটাহারের শ্রীপুর এলাকার সতু বর্মণ উত্তরপ্রদেশে রঙের কারখানায় কাজ করেন। লকডাউনের জেরে দু’মাস আগে দু’জনে বাড়িতে ফেরেন। তাঁদের কথায়, ‘‘লকডাউন শিথিল হয়েছে। আমাদের কারখানাও চালু হয়েছে। কিন্তু ট্রেন চালু না হওয়ায় যেতে পারছি না।’’ কায়সার ও সতুর দাবি, কয়েক দিন আগে তাঁরা একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করার জন্যেও প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ, ইটাহার, করণদিঘি, ইসলামপুর, চোপড়া, গোয়ালপোখর-১ ও ২ ব্লকের ৫০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা দিল্লি, মুম্বই, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকের কাজ করেন। লকডাউনের জেরে গত আড়াই মাসে প্রায় ৩৫-৪০ হাজার শ্রমিক বাড়িতে ফিরেছেন।
সে সব শ্রমিকদের অনেকেরই দাবি, কিছু দিন আগে প্রশাসন ভিন্ রাজ্য ফেরত কর্মহীন পরিযায়ী শ্রমিকদের একশো দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু অভিযোগ, জবকার্ড থাকা সত্বেও এখনও পর্যন্ত ভিন্ রাজ্য ফেরত জেলার বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক ওই প্রকল্পে কাজ পাননি। রোজগার না থাকায় তাঁরা আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন। লকডাউন শিথিল হলেও ট্রেন চলাচল শুরু না হওয়ায় তাঁরা ফের ভিন্ রাজ্যে গিয়ে কাজে যোগ দিতেও পারছেন না।
এ বিষয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পের জেলা আধিকারিক শুভ্রজিৎ গুপ্তের দাবি, সরকারি নিয়মে জবকার্ড থাকা কেউ প্রশাসনের কাছে নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন জানালে ১৫ দিনের মধ্যে তাঁকে কাজ দেওয়া হয়। পরিযায়ী শ্রমিকরা আবেদন করলে তাঁদেরও ওই প্রকল্পে কাজ দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন