বৈঠক: কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে। নিজস্ব চিত্র
ছট পুজোর পর থেকেই শিলিগুড়ি পুরসভার নানা ব্যর্থতার ঘটনা তুলে ধরে লাগাতার আন্দোলনে নামবে তৃণমূল। রবিবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের হলঘরে পর্যটনমন্ত্রী তথা দলের জেলা সভাপতি গৌতম দেবের উপস্থিতিতে আন্দোলন কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘ছটপুজোর পরে ২৮ অক্টোবর থেকেই লাগাতার আন্দোলন চলবে। এই পুরবোর্ডের ব্যর্থতা, অপশাসন, বেআইনি নিয়োগ সমস্ত বিষয় নিয়েই সার্বিক ভাবে আন্দোলনে নামা হবে।’’
আগামী বাংলা নববর্ষের আগে পর্যন্ত টানা আন্দোলন চলতে থাকবে বলেও জানানো হয়। এদিকে পাল্টা আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে এবং এই সরকারের প্রতিহিংসা নিয়ে আমরাও আন্দোলনে নামছি। ১ নভেম্বর শিলিগুড়িতে বিরাট মিছিল হবে।’’ রাজ্যের কাছ থেকে পুরসভার প্রাপ্য বকেয়ার দাবিতে এর পরে কলকাতায় গিয়ে পুরমন্ত্রীর দফতরের সামনে অবস্থান ও অনশন করা হবে বলেও দাবি করেন মেয়র। হাইকোর্টে মামলা করার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
তাঁর অভিযোগ, পুরসভার ক্ষমতায় তৃণমূল নেই বলে প্রতিহিংসা বশত উন্নয়নের বরাদ্দ টাকা দেওয়া হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তা করা হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। শিলিগুড়ি পুরসভাকে প্রাপ্য অধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে তাঁরা জোরদার আন্দোলনে নামবেন বলে জানান।
এ দিন শিলিগুড়ি পুরসভার তৃণমূলের আন্দোলন কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে ৪৭ টি ওয়ার্ডের একেকটি থেকে একেক দিন পুরসভায় গিয়ে মেয়রের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হবে। আন্দোলন কমিটির চেয়ারম্যান কৃষ্ণ পাল, বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকাররা জানান, ওয়ার্ডগুলোতে মিছিল, সভা হবে। শেষে কেন্দ্রীয় ভাবে সভা করে এই পুরবোর্ড এবং মেয়রের ব্যর্থতা তুলে ধরে ‘চার্জশিট পেশ’ করা হবে নাগরিকদের সামনে।