পাঁচিলে বাধায় ধমক

কোথাও সীমানার অংশে রিকশা বাইক যাতায়াতের জন্য গেট, কোথাও শনি মন্দিরের জায়গা দেওয়ার কথা বাসিন্দা এবং ওই নেতারা তুলেছিলেন। এমনকী পাঁচিলের কাজ করতে গেলে সম্প্রতি বাসিন্দারা বাধা দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৭ ০৩:১৯
Share:

ভর্ৎসনা: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে সীমান পাঁচিল নিয়ে কোনও বাধাই শোনা হবে না। বুধবার দলের নেতা কৃষ্ণ সরকারকে বলছেন মন্ত্রী গৌতম দেব। —নিজস্ব চিত্র।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সীমানা পাঁচিলের কাজে বাধা দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের কয়েকজনের উপরে ক্ষুব্ধ পর্যটনমন্ত্রী তথা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান গৌতম দেব। যে জায়গাগুলিতে পাঁচিলের কাজ আটকে রয়েছে, বুধবার তা পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে থাকা দলের মাটিগাড়া-১ সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি কৃষ্ণ সরকার এবং অন্য স্থানীয় নেতাদের উপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। পাঁচিল দেওয়ার সময় দলেরও কেউ বাধা দিতে এলে পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে গ্রেফতার করানো হবে বলে ধমক দেন। মহকুমাশাসককে জানিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশি নিরাপত্তায় কাজের নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ সমীর ঘোষ রায়কে।

Advertisement

কোথাও সীমানার অংশে রিকশা বাইক যাতায়াতের জন্য গেট, কোথাও শনি মন্দিরের জায়গা দেওয়ার কথা বাসিন্দা এবং ওই নেতারা তুলেছিলেন। এমনকী পাঁচিলের কাজ করতে গেলে সম্প্রতি বাসিন্দারা বাধা দেন। তাতে তৃণমূল নেতাদের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ। মন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ‘‘কোনও রকম অন্যায় আবদার মানা হবে না।’’ খুশি মতো চাইলেই সব জায়গায় রিকশা-বাইক যাতায়াতের জায়গা রাখার প্রশ্নই নেই। সীমানা পাঁচিল দেওয়া হবে। সে সময় কৃষ্ণবাবু তাঁকে কিছু বলতে গেলে মন্ত্রী ধমক দিয়ে বলেন, ‘‘কোনও কথা বলবে না। তোমার কথা মতো চলবে না কি? কাজ আটকাতে গেলে পুলিশকে জানিয়ে গ্রেফতার করানো হবে। কে পাঁচিল দেওয়া আটকায় দেখি। প্রয়োজনে আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পাঁচিল দেব।’’ মন্ত্রীর ধমক খেয়ে কৃষ্ণবাবু আর মুখ খোলেননি।

শনিঠাকুরের মূর্তি বসিয়ে সীমানা পাঁচিলের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলেও এ দিন ভর্ৎসনা করেন ওই নেতাদের। কৃষ্ণবাবু ছাড়া ছিলেন বিশ্বজিৎ সরকার এবং রূপম ঘোষদের মতো স্থানীয় নেতারা। তাদের দোষ নেই, মহিলারা শনিঠাকুর বসিয়েছেন বলে জানালে সাফ জানিয়ে দেন কাজের সময় সেখানে মহিলা পুলিশও রাখা হবে। তবু কোনও ভাবেই এ সব মেনে নেওয়া হবে না।

Advertisement

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সীমানা পাঁচিল দেওয়ার কাজ গৌতমবাবুর উদ্যোগেই শুরু হয়। তবে বাসিন্দাদের বাঁধায় তিনটি জায়গা, উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজের পিছনে, কলমজোত এলাকা এবং নার্সিং হস্টেলের কাছে সীমানা পাঁচিলের কাজ আটকে রয়েছে। এ দিন বেলা দেড়টা নাগাদ পরিদর্শনে গিয়ে অধ্যক্ষকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে ডেন্টাল কলেজের পিছনের অংশে যান। সেখানে শিশুদের স্কুলে যাতায়াতের জন্য বাসিন্দারা রাস্তা রাখারা দাবি তুলেছেন। তৃণমূল নেতাদের কয়েকজন বাইক, রিকশা যাতায়াতের জায়গাও রাখতে বললে মন্ত্রী ক্ষুব্ধ হন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, স্কুলের পড়ুয়াদের হেঁটে যাতায়াতের জন্য শুধু একটি ছোট গেট থাকবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন