Dengue

ডেঙ্গি নিয়ে ক্ষোভ মন্ত্রীর

সোমবার মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান মন্ত্রী। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে পুরসভার ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন তিনি। এ দিন কলেজপাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি তৃণমূলের জেলা নেত্রী মিলি সিংহ-সহ জ্বরে আক্রান্তদের দেখতে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৩৬
Share:

মন্ত্রী:ডেঙ্গি আক্রান্তকে দেখতে। ছবি: স্বরূপ সরকার

শহরে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে পুরসভার ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তাঁর বাড়ি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা কানাইলাল নন্দী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে দু’দিন আগে মারা গিয়েছেন। সোমবার মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান মন্ত্রী। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে পুরসভার ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন তিনি। এ দিন কলেজপাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি তৃণমূলের জেলা নেত্রী মিলি সিংহ-সহ জ্বরে আক্রান্তদের দেখতে যান।

Advertisement

রাজ্যের তরফে এবং স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে পর্যটনমন্ত্রী বৈঠক করে ডেঙ্গি প্রতিরোধে পুর কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন কাজের জন্য বলে। রোগ নিয়ন্ত্রণে সে সব ঠিক মতো করাই হয়নি বলে অভিযোগ। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য অবশ্য মন্ত্রীর অভিযোগের পিছনে রাজনীতি দেখছেন।

পর্যটনমন্ত্রীর কথায়, ‘‘রাজ্য ৬০ লক্ষ টাকা দিয়েছিল ডেঙ্গি প্রতিরোধে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করতে। পুরসভা যা করেছে, সেটা কী সমীক্ষা হয়েছে? মেয়র সব সময় রাজনীতির কথা বলছেন। চিন যাচ্ছেন, বিদেশ ঘুরছেন। বছরে ১৫০ দিনই তিনি বাইরে থাকছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক।’’ পুরসভার তরফে এখনও ডেঙ্গি প্রতিরোধে ‘কন্ট্রোল রুম’, ‘মনিটরিং সেল’ না-খোলায় এদিনও প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন-স্কুল-কলেজগুলোকে নিয়ে মিলিত ভাবে রোগ প্রতিরোধে এখনও নামতে পরেনি পুরসভা।

Advertisement

মেয়র বলেন, ‘‘রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারি নির্দেশ মেনেই কাজ হচ্ছে। অথচ মন্ত্রী তা নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছেন। জেনে বুঝে তবেই তাঁর বলা উচিত। তিনি যা বলছেন তাতে তাঁর জানা এবং বলার মধ্যে ফাঁক রয়েছে।’’ মন্ত্রীকে তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, পর্যটন মন্ত্রী হিসাবে কাজ করতে তাঁর কলকাতায় থাকার কথা। তিনি অধিকাংশ সময় শিলিগুড়িতে বসে রয়েছেন কেন? তবে পুরসভার তরফে এদিন মেয়র পারিষদরা বৈঠক করে ডেঙ্গি প্রতিরোধ কাজে আরও জোর দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মেয়র দাবি করেন।

পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান, গত বছর রাজ্যে ৪৫ জন ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছিলেন। আক্রান্ত ছিল ২৭ হাজার ৫০০ জন। তাঁর মধ্যে শিলিগুড়িতে ২ জন মারা যান। আক্রান্ত ছিল ১০০ জনের মতো। বাকিটাতো তৃণমূলের দখলে পুর এলাকাগুলোতেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন