বার্তা: উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
চাহিদা মতো পরিকাঠামো দিয়ে সাহায্য করতে সরকার প্রস্তুত। অপেক্ষা শুধু বিনিয়োগের। শিল্পদ্যোগীদের সামনে এমনই দাবি করলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব।
শুক্রবার শিলিগুড়িতে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কর্মাসের ‘গন্তব্য উত্তরবঙ্গ’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন তিনি। আলোচনা সভায় ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষও। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে চা-পর্যটন-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে যুক্তদের আলোচনায় ডাকা হয়েছিল।
মন্ত্রী গৌতমবাবু দাবি করেন, যে শিল্পগুলি উত্তরবঙ্গে রয়েছে সেগুলির এমন সব সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র রয়েছে যেদিকে এখনও নজর পড়েনি। গত কয়েক বছরে উত্তরবঙ্গে জাতীয় এবং রাজ্য সড়কের সম্প্রসারণ ছাড়াও বহু নতুন রাস্তাও তৈরি হয়েছে বলে দাবি করে পর্যটনমন্ত্রীর আর্জি, ‘‘আপনারা যেমন চাইবেন পরিকাঠামো দিয়ে তেমন ভাবেই সাহায্য করা হবে। এর জন্য একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে। আশা করব এ বার উত্তরবঙ্গে শিল্পে আরও বিনিয়োগ হবে।’’
এ দিনের আলোচনাকে কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। চা শিল্প, পর্যটন সহ নানা ভাগে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় এসেছিল দার্জিলিং প্রসঙ্গও। চা শিল্পদ্যোগী রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘‘বর্তমানে উত্তরবঙ্গে একটি বড় পরিবর্তন এসেছে। তা হল দার্জিলিঙে শান্তি রয়েছে। গত তিন দশকের রাজনৈতিক অস্থিরতার পরে এমন পরিবেশ শিল্পের জন্যও কাঙ্খিত।’’ চা ক্ষেত্রে ছোট বাগানের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষুদ্র চা চাষি সংগঠনের সর্বভারতীয় সংগঠনের প্রতিনিধি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী। উত্তরবঙ্গের ট্যুর অপারেটরদের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন এতোয়ার সভাপতি সম্রাট সান্যাল, বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা রাকেশ সহায়ও আলোচনায় অংশ নেন। ছিলেন পর্যটন সচিব বন্দনা যাদবও। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের আধিকারিকরাও আলোচনার বিভিন্ন ভাগে অংশ নিয়েছেন।
শিল্পদ্যোগীদের নিয়ে আলোচনা-সম্মেলন আগেও হয়েছে। বিনিয়োগ না এলে সেগুলির উদ্দেশ্যপূরণ হয় না বলে মনে করেন শিল্পোদ্যোগীদেরই একাংশ। তবে আয়োজকদের দাবি, শিল্পোদ্যোগী-মন্ত্রী-আধিকারিক সকলকে একমঞ্চে সামিল করতে পারলেই বিনিয়োগ আনার সলতে পাকানো শুরু হয়ে যায়।