প্রতীকী ছবি।
রক্ত পরীক্ষায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ছোট মেয়ের শরীরে ডেঙ্গির উপসর্গ মিলেছে বলে দাবি। সে রিপোর্ট হাতে আসায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। নিশ্চিত হওয়ায় জন্য দ্বিতীয়বার রক্ত পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তবে মন্ত্রীর দাবি, তাঁর মেয়ের ডেঙ্গি হয়নি।
পারিবারিক সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে জ্বরে আক্রান্ত হন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ছোট মেয়ে পম্পা ঘোষ। তাঁর শ্বশুরবাড়ি কলকাতায়। কোচবিহারে বাপের বাড়ি গিয়ে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে মদনমোহন বাড়ি সংলগ্ন একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে দেখে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। সে দিন থেকেই নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে তাঁর রক্ত পরীক্ষার যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে তাতে ডেঙ্গির উপসর্গ রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্যে এ বারে দ্বিতীয় পরীক্ষা করা হবে। ওই পরীক্ষা জ্বরের পাঁচ দিনের মাথায় করতে হয়। সেই উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। মন্ত্রী কন্যার দেহে ডেঙ্গির উপসর্গ মেলায় উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের। ইতিমধ্যেই কোচবিহারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৭ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে খবর।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী অবশ্য বলেন, “আমার মেয়ে ডেঙ্গি হয়নি। জ্বর হয়েছে তাঁর। এখন সুস্থ। তবুও চিকিৎসকরা এক দিনের জন্য পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। আজই ছুটি হওয়ার কথা।” স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি নার্সিংহোমে ডেঙ্গি পরীক্ষার কোনও পরিকাঠামো নেই। একমাত্র কোচবিহার জেলা হাসপাতালেই তা রয়েছে। তাই এনএসওয়ান পরীক্ষার জন্য মন্ত্রিকন্যার রক্তের নমুনাও জেলা হাসপাতালেই পাঠানো হয়েছিল। সেখানকার রিপোর্টেই ডেঙ্গির উপসর্গ মেলে। কোচবিহার জেলা হাসপাতালের সুপার জয়দেব বর্মন বলেন, “ওই রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।”
ওই ঘটনা চাউর হতেই বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, শুধু কলকাতা, শিলিগুড়ি নয়, গোটা রাজ্যে ডেঙ্গি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কিন্তু সব জায়গায় ওই অবস্থার কথা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “ রাজ্যে ভয়াবহ বিপদ নিয়ে এসেছে ডেঙ্গি। আমাদের জেলাও সুরক্ষিত নয়। এটাকে লুকিয়ে না রেখে মোকাবিলা করার কাজ করতে হবে। স্বাস্থ্য দফতরকে ঊদ্যোগ নিতে হবে। মন্ত্রীকন্যার সুস্থতা কামনা করি। কিন্তু ওই বিষয়ে চিকিৎসকদের বলতে দেওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে আমরা কেউ চিকিৎসক নই।”