আবার শিশুমৃত্যু, নালিশ মেডিক্যালে

চিকিৎসার গাফিলতিতে সদ্যোজাতর মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার প্রসূতির স্বামী মানিক ঘোষ পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৪
Share:

চিকিৎসার গাফিলতিতে সদ্যোজাতর মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার প্রসূতির স্বামী মানিক ঘোষ পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করানো হচ্ছে।

Advertisement

পেশায় দিনমজুর মানিকবাবু মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া থিকনিকাটা এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি মানিকবাবুর স্ত্রী সুশীলাদেবী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পর সদ্যোজাতকে দেখিয়ে চিকিৎসক জানায় শিশুর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তাই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা হবে। রাতভর মানিকবাবু এবং পরিবারের অন্যান্যরা হাসপাতালেই ছিলেন। রাতে তাঁরা শিশুটির অবস্থা খোঁজ নিতে গেলে নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীরা পরে জানাবে বলেন।

শুক্রবার বেলা ৯টা নাগাদ তাঁদের জানানো হয় শিশুটি মারা গিয়েছে। রাত দেড়টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়েছে। অথচ শিশুটি ১টা নাগাদ মারা গিয়েছে বলে ‘ডেথ সার্টিফিকেট’-এ লেখা রয়েছে। তা ছাড়া সে সময় শিশুটির পরিবারকে কেন জানানো হল না সেই প্রশ্ন উঠেছে। শিশুটির পরিবারের সন্দেহ, চিকিৎসায় গরমিলের কারণেই সদ্যোজাতর মৃত্যু হয়েছে। দোষ ঢাকতেই রাতে তা জানানো হয়নি।

Advertisement

হাসপাতালের সুপার মৈত্রেয়ী করও জানান, সদ্যোজাত মারা যাওয়ার পরই পরিবারকে জানানো উচিত। তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত কমিটি গড়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রিপোর্ট পেলে সেই মতো ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’’

পরিবারের অভিযোগ, ১৬ এপ্রিল অসুস্থ বোধ করলে সুশীলাদেবীকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছিলেন। পরের দিন ছুটি দিয়ে চিকিৎসক জানান, বাচ্চা জন্মাতে আরও এক মাস দেরি আছে। বৃহস্পতিবার ফের ব্যথা শুরু হলে বেলা ৪টে নাগাদ ভর্তি করানো হয়। ৬টা নাগাদ চিকিৎসক জানান, এখনই অস্ত্রোপচার করে প্রসব করাতে হবে। সেই মতো কাগজপত্রে সই করিয়ে নেন।

মানিকবাবু বলেন, ‘‘নার্সিংহোমে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই। সরকারি হাসপাতালই ভরসা। কিন্তু এখানে চিকিৎসায়ে গাফিলতি হলে আমরা কোথায় যাব? তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন