সুরেন্দ্রকুমার মাহাতো
কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতরের এক কর্মীকে মারধর করে ও কুপিয়ে নগদ টাকা, মোবাইল-সহ সর্বস্ব নিয়ে পালাল চার দুষ্কৃতী। বুধবার ভোরে মাটিগাড়া থানার উত্তরায়ণ উপনগরী লাগোয়া ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচার বাড়ি ‘হিমাঞ্চল বিহার’ কয়েকশো মিটার দূরেই।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীর নাম সুরেন্দ্রকুমার মাহাতো। বিহারের সমস্তিপুর জেলার বাসিন্দা হিমাঞ্চল বিহারের সরকারি আবাসনে থাকেন। কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতরে তিনি কম্পিউটার বিভাগে কর্মরত। তাঁর দুটি হাতেই ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ডান হাতে চারটি সেলাই পড়েছে। পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘মাটিগাড়া থানাকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’
এলাকায় শপিং মল, বড় মাপের একটি নার্সিংহোম ছাড়াও একাধিক সরকারি আবাসন রয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে লোকজন যাতায়াত করেন। জাতীয় সড়ক লাগোয়া এলাকায় থানা তো রয়েইছে, তার উপর উপনগরীতে একটি ফাঁড়িও আছে। তার পরেও এমন ঘটনা ঘটলে তো ভোর বা রাতে রাস্তায় চলাচলই করা যাবে না, ভয় বাসিন্দাদের। পুলিশের টহলদারি ভ্যান থাকলেও তার দেখা মেলে না বলে অভিযোগ। সুরেন্দ্রবাবু সম্প্রতি ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন। রাতে সমস্তিপুর থেকে একটি বেসরকারি বাসে শিলিগুড়ি ফিরছিলেন। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ জাতীয় সড়কে গাড়ি থেকে নেমে তিনি বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। হাল্কা কুয়াশাও ছিল। হঠাৎ চার যুবক হইহই করে তেড়ে আসে। একজনের টুপি দিয়ে মুখ ঢাকা ছিল। দু’জনের হাতে ভোজালি ছিল। এসে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে পকেট থেকে ৪ হাজার টাকা, মোবাইল, আংটি কেড়ে নেয়। তিনি বলেন, ‘‘আমি বাধা দিতে গেলে হাতে কুপিয়ে দেয়। একটি পিকআপ ভ্যান রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। আমি চিৎকার করলেও সেটি দাঁড়ায়নি। শেষে আমার সব কেড়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে রেল লাইন ধরে পালায়।’’ হাতে রুমাল বাঁধা অবস্থায় কোনও ক্রমে একটি অটোকে দাঁড় করান তিনি। অটোর দুই যাত্রীই তাঁকে মাটিগাড়া হাসপাতালে পৌঁছে দেন। সুরেন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘পুলিশ কমিশনার আমাদের প্রতিবেশী। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি এক পুলিশ কর্মীকে দিয়ে খবর পাঠান। তবুও আতঙ্কে আছি।’’