—প্রতীকী ছবি।
রাতে রাস্তায় নাকা চেকিংয়ের সময় পুলিশ যে ভাবে টর্চের আলো ফেলে গাড়ি আটকায়, ঠিক একই কায়দায় মোটরবাইক আটকে তিন যুবককে মারধর করে লুট চালাল একদল দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ইংরেজবাজার থানার যদুপুর ১ পঞ্চায়েতের কাঁটাগড়ে, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। অভিযোগ, এর আগেও একই জায়গায় আরও এক বাইক আরোহী যুবককে আটকে তাঁর কাছ থেকেও টাকাপয়সা লুট করে দুষ্কৃতীরা। রাতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে পুলিশের টহলদারি ভ্যান থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের লুটের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে টহলদারি পুলিশের ভূমিকা নিয়েই। ওই তিন যুবকের দাবি, ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে একটি টহলদারি পুলিশ ভ্যান এলেও তারা থানায় অভিযোগ করতে বলেই দায় সেরেছে। মারধর করে লুটপাটের বিষয়টি নিয়ে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে খবর। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ন’টা নাগাদ ইংরেজবাজার থেকে বাইকে তিন বন্ধু রাহুল রায়, প্রসেনজিৎ সাহা ও সুমিত সাহা গৌড় মালদহ স্টেশনের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে থাকা একটি ধাবায় যাচ্ছিলেন। রাহুল বলেন, ‘‘সুস্থানি মোড় পেরিয়ে কিছু দূর যেতেই জাতীয় সড়কের পাশ থেকে টর্চ দেখিয়ে আমাদের দাঁড় করানো হয়। নির্বাচনের সময় জাতীয় সড়কে পুলিশ নাকা চেকিং চালাচ্ছে ভেবে আমি দাঁড়িয়ে পড়ি। কিন্তু ভুল ভাঙে পরের মুহূর্তেই, যখন ঘাড়ে হাঁসুয়া জাতীয় অস্ত্র ঠেকানো হয়।’’ তাঁর অভিযোগ, বাইক দাঁড় করাতেই চার থেকে পাঁচজনের দলটি সঙ্গে থাকা টাকা, মোবাইল—সব কিছুই বার করে দিতে বলে। টাকা না দিলে হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে খুন করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। বাধা দেওয়ায় প্রসেনজিৎকে করা হয় মারধর। তারপর দুষ্কৃতীরা মিলে তিন জনকেই মারধর করে লুট চালিয়ে গা ঢাকা দেয় বলে জানান তাঁরা। মারধরে জখম প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আমরা ভাবতেই পারিনি যে জাতীয় সড়কে পুলিশের কায়দায় আমাদের আটকে এ ভাবে দুষ্কৃতীরা লুটপাট চালাবে।’’
রাতেই ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ করেন রাহুল রায়। জেলা পুলিশের ডিএসপি বিপুল মজুমদার বলেন, ‘‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।’’ বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাঁটাগড়ের কাছে জাতীয় সড়কে বাইক, ছোট গাড়ি থামিয়ে লুট চালাচ্ছে একদল দুষ্কৃতী। কিন্তু পুলিশ নির্বিকার।