গৃহকর্তাকে বন্দি রেখে লুট, জখম যুবকও

গৃহকর্তাকে ঘরে বন্দি করে রেখে তাঁর ছেলের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরে লুটপাট চালাল একদল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, লুট করে যাওয়ার সময় আগ্নেয়াস্ত্রর বাঁট দিয়ে যুবকের মাথায় আঘাত করে দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালিয়াচক শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

গৃহকর্তাকে ঘরে বন্দি করে রেখে তাঁর ছেলের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরে লুটপাট চালাল একদল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, লুট করে যাওয়ার সময় আগ্নেয়াস্ত্রর বাঁট দিয়ে যুবকের মাথায় আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের কালিয়াচক থানার পূর্ব চাঁদপুর গ্রামে। ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় আহত জাহাঙ্গির আলম কালিয়াচক কলেজের ছাত্র। তাঁর বাবা মহম্মদ মোস্তাক আহমেদ কালিয়াচকের জালালপুরের একটি মসজিদের ইমাম। তাঁর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশি টহলদারির অভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দুষ্কৃতীরা। তাই দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি। মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকার বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ শুরু হয়েছে।”

কালিয়াচক থানার জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব চাঁদপুরে জনবহুল এলাকাতে বাড়ি মহম্মদ মোস্তাক আহমেদের। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একতলা বাড়িতে তিনটি ঘর রয়েছে। পুরো বাড়ি ঘেরা রয়েছে। অভিযোগ, চার থেকে পাঁচ জনের একটি দল বাড়ির ছাদে উঠে সিঁড়ি ঘরের গ্রিল কেটে নীচে আসে। প্রথমে মোস্তাক আহমেদের ঘর বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়। এর পরে জাহাঙ্গিরের ঘরে গিয়ে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অন্য ঘরগুলিতে। তিনটি ঘরেই লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। পরিবারের দাবি, দু’ভরি সোনার অলঙ্কার সহ নগদ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। একটি মোবাইল ফোন, ওভেন-সহ গ্যাস সিলিন্ডার, কাঁসার বাসনপত্রও লুট করা হয়। লুটপাট করে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়ে জাহাঙ্গিরের মাথায় আঘাত করে। রাত সাড়ে তিনটে থেকে সাড়ে চারটে পর্যন্ত দুষ্কৃতীরা লুটপাট চালায় বলে দাবি করেন পরিবারের লোকেরা।

Advertisement

ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে যায় গ্রামে। গ্রামবাসীরা জাহাঙ্গিরকে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। যদিও প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, দুষ্কৃতীরা গাড়ি নিয়ে ডাকাতির করতে আসে। একই সঙ্গে বাঁশ দিয়ে মই তৈরি করে তারা ছাদে ওঠে বলে প্রাথমিক অনুমান গ্রামবাসীদের।

মহম্মদ মোস্তাক আহমেদ বলেন, “আচমকা ছেলের চিৎকার শুনতে পাই। জানলা দিয়ে দেখি চার থেকে পাঁচ জনের একটি দল। প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র এবং লোহার রড। আমাদের ঘর বাইরে থেকে আটকানো ছিল। বাইরে আরও দুষ্কৃতীরা ছিল।” আতঙ্কিত জাহাঙ্গির বলেন, “ঘরের দরজা খোলাই থাকে। আচমকা দেখি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দু’জন লোক দাঁড়িয়ে রয়েছে। এক ঘণ্টা কী ভাবে কেটেছে ভাবলেই গা শিউরে উঠছে।” পরিকল্পিত ভাবে লুটপাট বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন