দুষ্কৃতী ধৃত, উদ্ধার হয়নি হার

দুষ্কৃতী ধরা পড়লেও উদ্ধার হল না স্বপ্না বর্মণের মা’র ছিনতাই যাওয়া হারটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৫৮
Share:

হেফাজতে: স্বপ্না বর্মণের মা’র হার ছিনতাই ঘটনায় ধৃত। নিজস্ব চিত্র

দুষ্কৃতী ধরা পড়লেও উদ্ধার হল না স্বপ্না বর্মণের মা’র ছিনতাই যাওয়া হারটি। পুলিশ জানতে পেরেছে ধৃত জিতুয়া সিংহ কুড়ি হাজার টাকায় হারটি করেছে নিজের শাকরেদ পিন্টু সিংহকে। পিন্টুর খোঁজে মরিয়া কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

Advertisement

সোমবার আদালতে আবেদন জানিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধৃত জিতুয়াকে আটদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। শনিবার সন্ধে স্কুটি করে বোনের সঙ্গে বাজার থেকে ঘোষপাড়ার বাড়িতে ফিরছিলেন স্বপ্নার মা বাসনা বর্মণ। কালিয়াগঞ্জে একটি কার্লভাটের কাছে তাঁর গলা থেকে সোনার হার ছিনতাই করে চম্পট দেয় মোটরবাইক আরোহী দুই দুষ্কৃতী।

তাঁর সঙ্গে এ ধরনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় প্রশাসনিক মহলে। আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। খবর পৌঁছে যায় রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় প্রশাসনিক মহলে। ঘটনার তদন্তে জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি স্বপ্নার বাড়িতে যান। কোতোয়ালি এবং রাজগঞ্জ থানার পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান শুরু করে।

Advertisement

রবিবার সাতজন সন্দেহভাজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তার মধ্যেই ছিল রাজগঞ্জের ঝাঞ্জিপাড়ার জিতুয়া। রবিবার দিনভর টানা জেরায় হার ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে সে। গ্রেফতারির পর সোমবার তাকে জলপাইগুড়ি মুখ্য আদালতে তোলা হয়। বিচারক আটদিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে ধৃত জিতুয়া হার ছিনতাই করলেও নম্বর প্লেটহীন মোটরবাইকটি চালাচ্ছিল পিন্টু। জিতুয়ার মতো সেও পুলিশের কাছে দাগী অপরাধী বলেই পরিচিত। জেরায় জিতুয়া জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা পিন্টুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এর আগেও বিভিন্ন রাজ্যে অপরাধমূলক কাজকর্ম করেছে। শনিবার হার ছিনতাইয়ের পর পিন্টু কুড়ি হাজার টাকা জিতুয়াকে দিয়ে হারটি নিয়ে চলে যায় বলে পুলিশ জেরায় জানতে পেরেছে। তাই এখন পিন্টুর নাগাল পেতেই মরিয়া পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, পিন্টুর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

ইতিমধ্যে ঘটনার পর দু’দিন পার হয়ে গিয়েছে। হার নিয়ে পিন্টু কোথায় পালিয়ে যেতে পারে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তার গতিবিধি সম্পর্কে ধৃত জিতুয়া কতটা ওয়াকিবহাল তা নিয়ে তাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এদিকে ছিনতাইয়ের ঘটনার কিনারা হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন বাসনা। ছিনতাইয়ের সময় পাওয়া কাধের চোট এখনও সম্পূর্ণ ঠিক হয়নি। তার মধ্যেই এদিন এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে শুনে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন।

তবে তাঁর বাড়িতে পুলিশ পিকেট আপাতত থাকছে। জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, যেহেতু একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে তাই কিছুদিন সেখানে পুলিশ ক্যাম্প থাকবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন