প্রতীকী চিত্র।
মাটিগাড়া এলাকায় ‘মোবাইল বার’ অর্থাৎ বেআইনি মদের ব্যবসার দখল রাখা নিয়েই এলাকায় গোলমাল পাকতে শুরু করেছে। পুলিশের একটি অংশের দাবি, মোবাইল বারের পিছনে দখলদারি রাখতে তৃণমূল যেমন সক্রিয়, তেমনি পাল্টা এলাকা দখল করতে চাইছে বিজেপিও। তার জেরেই সমস্যা বাধছে এলাকায়। যদিও পুলিশকর্তা, বিজেপি, তৃণমূল এই দাবি সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছে।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পশ্চিম) তরুণ হালদার বলেন, ‘‘বাইকে মদ বিক্রি হচ্ছে— এমন খবর আমাদের কাছে নেই। ঝামেলার তদন্ত চলছে। কিছু পেলে ব্যবস্থা নেব।’’ পলাতক বা নতুন কোনও গুলির খোলও মেলেনি এলাকায়।
কী ভাবে চলে মদের কারবার? এলাকার সূত্র জানাচ্ছে, খাপরাইল মোড় থেকে সুকনাগামী রাস্তার দু’পাশে গত কয়েক বছরে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু হোটেল এবং বার। কিন্তু জাতীয় সড়ক এবং রাজ্য সড়কের ধারে মদের ব্যবসা করা যাবে না বলে দু’বছর আগে আদালতের নির্দেশিকার পর অনেকগুলি বার বন্ধ হয়ে যায়। তার পর থেকে ওই এলাকায় গজিয়ে উঠেছে মোবাইল বার। কয়েকটি হোটেলে বসে চাইলেই মোটরবাইকে করে পছন্দের মদ হাজির হয়ে যাবে। তবে বেশি দামে। নতুন সরকারি নির্দেশ আসার পরে নতুন করে কিছু বার খুলেছে। তবে মোবাইল বারের অভিযোগ রয়েছেই।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
স্থানীয় সূত্রে দাবি, গত মঙ্গলবার ঘটনার সূত্রপাত এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই। মাটিগাড়া ব্লকের তৃণমূল কার্যকরী সভাপতি দুর্লভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দলের কেউ মদ বিক্রি বা সেই কারবারে যুক্ত নয়।’’
তৃণমূল সূত্রে দাবি, গত কয়েক বছরে এলাকায় দলের ব্লক সভাপতি অর্ধেন্দুর দখল অনেকটাই আলগা হয়েছে। দুর্লভের দাবি, অর্ধেন্দুর ভাইপো ভাইটু-সহ অনেকেই এখন তাঁদের সঙ্গে। অর্ধেন্দুর পাল্টা দাবি, সকলে তার সঙ্গেই রয়েছেন। তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য রঞ্জন সরকার অর্ধেন্দুর নাম না করে বলেন, ‘‘মাটিগাড়ায় দলের কয়েক জন ভোটের সময় দলের হয়ে নামছে না। কিন্তু পরে ঝামেলা পাকাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
বিজেপির তরফেও এলাকায় মদের কারবারের দাবি অস্বীকারই করা হয়েছে।