এই গাড়িতেই পৌঁছে যাবেন চিকিৎসকেরা। — নিজস্ব চিত্র
শুরু হয়েছিল জঙ্গলমহলে। এ বার সে পথেই ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু হচ্ছে মালদহের ৬টি ব্লকের মোট ১৮টি গ্রামে। সোমবার কালিয়াচকের পারদেওনাপুর উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সূচনা হল এই পরিষেবার।
এখন থেকে প্রতি সোমবার এখানে মিলবে বিভিন্ন রোগের ওষুধ ও অন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা। তাই যে উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শুধুমাত্র শিশুদের টিকা ও নেহাতই সাদামাটা প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া এতদিন আর কিছুই মিলত না বলে বিশেষ পা রাখতেন না এলাকার বাসিন্দারা, সেখানেই এ দিন ভিড় ছিল নজরকাড়া। দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে আক্রান্ত জোহরা বিবি, কোহিনূর বিবি, সানোয়ারা খাতুন, মকবুল হোসেনরা সকাল হতেই চলে এসেছিলেন ভাল হওয়ার আশায়।
মালদহের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দিলীপ মণ্ডল জানান, কালিয়াচক ২ ও ৩, রতুয়া ১ ও ২, মানিকচক এবং হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ১৮টি গ্রামে এই ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু করা হবে। এই গ্রামগুলি থেকে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বেশ দূরে। ওই দুর্গম এলাকার মানুষরা যাতে উপযুক্ত চিকিৎসা পান তার জন্যই কেন্দ্রের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে এই উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতি সপ্তাহের সোম থেকে শনিবার পর্যন্ত একদিন করে সেখানে গ্রামবাসীরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবে।
মেডিকেল ইউনিট গ্রামে গিয়ে সংশ্লিষ্ট উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে বসেই চিকিৎসা করবে। ওই টিমে একজন করে চিকিৎসক, নার্স, কম্পাউন্ডার থাকবেন। পোর্টেবল মেশিনে এক্স-রে, টিসি-ডিসি ও ইএসআর এবং হিমোগ্লোবিনের মতো সাধারণ রক্ত পরীক্ষাও করা হবে। দেওয়া হবে ওষুধও। হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবার মতো সবটাই রোগীরা বিনামূল্যে পাবেন। এছাড়া কোনোও রোগীকে যদি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করতে হয় সেটাও করা হবে। অবশেষে গ্রামে অন্তত একদিন চিকিৎসক আসবেন ও পরিষেবা মিলবে, এটাই বড় পাওনা পারদেওনাপুরের মানুষের।