ডাকঘরে নয়ছয়, দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই

ডাক বিভাগ সূত্রের খবর, শুক্র ও শনিবার সিবিআইয়ের ওই দলটি তদন্ত চালায়। রবিবার তাঁরা ফিরে গিয়েছেন। এই দফায় অবশ্য কোনও ডাকঘরে ওই দলের সদস্যরা যাননি। তদন্তের স্বার্থে ফের তাঁদের কোচবিহারে আসবার কথা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৭ ০৩:৩৩
Share:

ডাক বিভাগের কয়েক কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগের তদন্তে নেমে কোচবিহার ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করলেন সিবিআইয়ের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

টানা দু’দিন কোচবিহারের একাধিক এলাকায় গিয়ে ঘটনার সরেজমিন তদন্ত চালান তাঁরা। ওই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত দিনহাটার ভেটাগুড়ি এলাকার বাসিন্দা রাহিমুল খন্দকারের বাড়িতেও যান সিবিআই দলের সদস্যরা। একাধিক ব্যাঙ্কেও যান তাঁরা। রাশিডাঙা ও ঘুঘুমারি এলাকার বাসিন্দাদের কাছেও বেশ কিছু ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছেন।

ডাক বিভাগ সূত্রের খবর, শুক্র ও শনিবার সিবিআইয়ের ওই দলটি তদন্ত চালায়। রবিবার তাঁরা ফিরে গিয়েছেন। এই দফায় অবশ্য কোনও ডাকঘরে ওই দলের সদস্যরা যাননি। তদন্তের স্বার্থে ফের তাঁদের কোচবিহারে আসবার কথা রয়েছে।

Advertisement

ডাক বিভাগ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সে সময় প্রয়োজন হলে যে দু’টি ডাকঘরের কর্মীর বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে সেখানে যেতে পারেন সিবিআইয়ের সদস্যরা। তদন্তের জাল গোটাতে সন্দেহভাজনদের সঙ্গে কথাও বলতে পারেন তাঁরা।

ডাক বিভাগের এক আধিকারিকের বক্তব্য, এত দ্রুত সিবিআই দলটি সরেজমিনে তদন্তে আসায় ঘটনার দ্রুত কিনারা হবে বলে আশা বেড়েছে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির ব্যাপারেও বিশদে খোঁজ নিয়েছেন সিবিআই সদস্যেরা। ডাক বিভাগের কোচবিহারের অ্যাসিট্যান্ট সুপারিনটেন্ডেন্ট ধনঞ্জয় বর্মন বলেন, “ওই ঘটনাটির তদন্ত হচ্ছে।”

ডাক বিভাগ সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত মার্চে কোচবিহারের ঘুঘুমারি ও রাশিডাঙা ডাকঘরের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তারপরেই ঘটনার ব্যাপারে কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানান ডাককর্তারা। পাশাপাশি নয়ছয়ের টাকার অঙ্ক ৬ কোটির বেশি বলে প্রাথমিক হিসেবের পরে সিবিআইয়ের দফতরেও বিষয়টি জানানো হয়।

পুলিশ তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে ঘুঘুমারির সাব পোস্টমাস্টার সুজিত রায়কে গ্রেফতার করেছে। তবে ওই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত রাহিমুল খন্দকার এখনও বেপাত্তা। শুক্রবার প্রায় রাতভর ভেটাগুড়ির সিঙিজানি এলাকায় রাহিমুলের বাড়িতে তল্লাশি চালান তাঁরা। এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বিলাসবহুল বাড়ি, আসবাবপত্র, ব্যাঙ্কের লেনদেন সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। জমির কাগজপত্র, মোটর বাইক, অনলাইন কেনাকাটার নানা তথ্যও নিয়েছেন।

কী ভাবে হয়েছে ওই বিপুল আর্থিক নয়ছয়? পুলিশ সূত্রের খবর, ডাক বিভাগের বরাদ্দ টাকা অনলাইনে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে প্রয়োজন মতো বিভিন্ন ডাকঘরে পাঠানো হতো। কোনও ভাবে সেই পাসওয়ার্ড হাতিয়ে ওই বরাদ্দ সাধারণ গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে তা তুলে নিয়ে দিনের পর দিন নয়ছয় করা হয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল জানান, রুজু অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁরাও তদন্ত চালাচ্ছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন