দার্জিলিং পাহাড়ের তিস্তা ও রাম্মামে কয়েকটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার কালিম্পঙের ডেলোতে এনএইচপিসির আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী তিস্তা ও রাম্মামে আরও কয়েকটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যেই তিস্তাতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। রাম্মাম এবং তিস্তায় আরও কয়েকটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজও চলছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে আরও প্রকল্পের কাজ শুরু হলে পরিবেশে তার কী প্রভাব পড়বে তা নিয়েও সমীক্ষার অবকাশ রয়েছে বলে পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন। বিশেষত উত্তরাখণ্ড কাণ্ডের পরে এ বিষয়ে সর্তকতা না নিলে বড়সড় গাফিলতি হবে বলে তাঁদের দাবি।
এ দিন রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকে জিটিএ-র তরফেও একাধিক বিষয়ে দাবি জানানো হয়েছে। জিটিএ সূত্রে জানানো হয়েছে, কার্শিয়াং ও কালিম্পঙের জন্য সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প চালু করার দাবিও জিটিএ-র তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। পাহাড়ে মোর্চার বয়কট আন্দোলন চলার সামনে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল মিটিয়ে দিতে রাজ্য সরকারের ১২টি কিস্তিতে বিল মেটানোর প্রস্তাবও নিয়েও আপত্তি জানান জিটিএর প্রতিনিধিরা। তাঁদের দাবি, বকেয়া বিল মেটানোর নির্দেশ প্রত্যাহার করতে হবে।
এ দিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের পাঠানো বেশ কিছু বিজ্ঞপ্তি নিয়েও রোশন গিরিরা নালিশ জানিয়েছেন। ওই নির্দেশগুলি জিটিএ-এর কাজে হস্তক্ষেপ করে বলে তাঁদের অভিযোগ। তিনি বলেন, “জিটিএকে স্বাধীন ভাবে কাজ দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। ১১টি সম্প্রদায়কে তফশিলি উপজাতির স্বীকৃতির বিষয়-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকার প্রস্তাব রেখেছি।” জিটিএ চুক্তি অনুযায়ী মোর্চা নেতা সমর্থকদের বিরুদ্ধে থাকা পুরোনো রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের দাবিও এ দিনের বৈঠকে জিটিএ-এর সদস্যরা তুলেছেন বলে দাবি করেন। রোশন গিরির দাবি, এ বিষয়ে রাজ্য সরকার বৈঠক করে পদক্ষেপ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। পাহাড়ের স্কুলগুলির জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের দায়িত্ব অস্থায়ী ভাবে জিটিএর হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে এ দিনের বৈঠকে। রোশন গিরি ছাড়াও দার্জিলিঙের বিধায়ক ত্রিলোক দেওয়ান, জিটিএ-এর সদস্যরা আর বি ভূজেল, বিনয় তামাঙ্গ বৈঠকে ছিলেন। বৈছকে উপস্থিত রাজ্যের কোনও আধিকারিকই মন্তব্য করতে রাজি হননি।