মোবাইল িনয়ে আরও কড়া পুলিশ

জেলার ১০৫টি পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে ৫২টিই স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় কতটা উদ্বেগ ছড়িয়েছে প্রশাসনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মালদহ শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৫৬
Share:

জেলার ১০৫টি পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে ৫২টিই স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় কতটা উদ্বেগ ছড়িয়েছে প্রশাসনে। ফলে ৫০ শতাংশেরও বেশি কেন্দ্রে অতিরিক্ত নজরদারি চালিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পার করতে চায় জেলা প্রশাসন।

Advertisement

ওই স্পর্শকাতর সব কেন্দ্রেই থাকবে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ডিটেক্টর। এর মাধ্যমে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি চালানো হবে। স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলোতে থাকছে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরাও। কিন্তু বাকি পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে এমন কড়াকড়ি না থাকায় শিক্ষকদের একাংশ উদ্বিগ্ন। কেন না, মোবাইলে ছবি তুলে সদ্যসমাপ্ত মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস-কাণ্ডে নাম উঠে এসেছিল মালদহের। তদন্তে নেমে তিন ছাত্রকে গ্রেফতার ও দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে আটক করেছিল সিআইডি। এখনও জেলার বিভিন্ন এলাকায় সিআইডি তল্লাশি জারি রেখেছে। সেই আবহেই আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু উচ্চমাধ্যমিক।

যদিও প্রশাসনের তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে, সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে কড়া নজরদারি থাকছে। জেলা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটদের দলও ব্লকে ব্লকে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে ঘুরে নজরদারি চালাবে। ঘোরার কথা জেলাশাসক ও জেলা পরিষদের সভাধিপতিরও।

Advertisement

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তাপসকুমার বিশ্বাস জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা যাতে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পরীক্ষা যাতে নির্বিঘ্নে হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়েছে।’’

অভিযোগ, মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই হোয়াট্সঅ্যাপ-সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকে প্রশ্নপত্রের ছবি। তাতে প্রথম দিনেই নাম জড়ায় মালদহের।

‘খোকাবাবু’ নামে বিশেষ হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ খুলে যারা প্রশ্ন ফাঁস করছিল তাতে মালদহের বাসিন্দারাও যুক্ত বলে খবর রয়েছে। সিআইডি কর্তাদের ধারণা, মাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে মালদহে বড়সড় চক্র কাজ করেছে। যার সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের একাংশ যুক্ত বলেও নজির মিলেছে। উচ্চমাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাস ঠেকানো তাই বড় চ্যালেঞ্জ কাউন্সিলের কাছে।

জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্পর্শকাতর কেন্দ্র বাদে বাকিগুলিতে পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়াররা তল্লাশি করবেন। ছাত্রীরা যে স্কুলগুলোতে পরীক্ষা দেবে সেখানে মহিলা কনসস্টেবলের পাশাপাশি মহিলা সিভিক ভলান্টিয়াররা তল্লাশিতে থাকবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন