প্রায় সারারাতই না ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন সুকৃতী আশের মা স্বাতীদেবী। মেয়ের চিন্তায় খেতে পারেননি অসুস্থ ওই বৃদ্ধা। সোমবার হিলকার্ট রোডে বাম মিছিলে পুলিশের গায়ে তেল ঢালার অভিযোগে সুকৃতীকে খুঁজছে পুলিশ। পুলিশের উপর আক্রমণের মামলাও দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
স্বাতীদেবীর কথায়, ‘‘আমার মেয়ে পুলিশকে আক্রমণ করবে এরকম হতে পারে না। যতটুকু জেনেছি, কুশপুতুলের গায়েই জ্বালানি ছুঁড়তে গিয়েছিল, তা ছিটকে গিয়ে পড়ে পুলিশের গায়ে।’’ এ দিকে রাত থেকে বাড়ি ফেরেনি সুকৃতী। সে কোথায় রয়েছে, তা জানে না বলেই দাবি করেছে তাঁর পরিবার।
মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সুকৃতী ২০১৫-তে এসএফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত হন। তাঁর দিদির বিয়ে হয়েছে কয়েক বছর। ২০১৭-তে বাবা তপন আশ মারা গেলে আর পড়াশোনা চালাতে পারেননি সুকৃতী। পরিবারের সাহায্যের জন্য তখন থেকেই একটি বিউটি পার্লারে চাকরিতে যোগ দেন। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক মন্ডলীতেও রয়েছেন সুকৃতি। পরিচিতরা জানান, ছবি আঁকতেও বিশেষ পারদর্শী তিনি। স্বাতীদেবী সিপিএম সমর্থক হলেও সুকৃতী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য কোনওদিনই ছিল না বলে দাবি পরিবারের। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্যই তাঁকে সংগঠনের কাজে বেশি যেতে দেওয়া হত না বলেই দাবি করেছেন তাঁর মা। এলাকায় তৃণমূল আয়োজিত অনেক আঁকা প্রতিযোগিতা ছাড়াও ২০১৫ সালের উত্তরবঙ্গ উৎসবে আঁকার বিচারক হিসেবেও স্মারক পেয়েছেন সুকৃতী। পশু হেল্পলাইনের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। স্বাতীদেবীর দাবি, মিছিলে গিয়ে অতি উৎসাহিত হয়ে কুশপুতুল জ্বালাতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।