শিলিগুড়িতেও মুকুলের ফ্লেক্স

এখানে অবশ্য ফ্লেক্সের নিচে সৌজন্যে-শিলিগুড়ি নাগরিক মঞ্চ লেখা রয়েছে। এনজেপি গেটবাজারেও আরেকটি ফ্লেক্স দেখা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৭ ০২:১৮
Share:

রহস্য: হাসমিচকে পড়েছে এই ফ্লেক্স। নিজস্ব চিত্র

উত্তরবঙ্গে বালুরঘাট, মালদহে পর এবার শিলিগুড়ি। বুধবার শহরের একাধিক জায়গায় মুকুল রায়ের শুভেচ্ছাবার্তা দিয়ে ফেক্স নজর পড়ল বাসিন্দাদের।

Advertisement

ছটপুজোর মুখে মুকুল রায়ের ফ্লেক্সকে ঘিরে শিলিগুড়ির তৃণমূলের অন্দরে চাঞ্চল্যও ছড়িয়েছে। প্রকাশ্যে না হলেও দলের ভিতরে কারা বহিস্কৃত সাংসদের হয়ে শহরে ফ্লেক্স ঝোলালো তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বালুরঘাট, মালদহের ফ্লেক্সের মতই একই ফ্লেক্স ঝুলেছে শিলিগুড়িতে। দুপুরে থেকে দুটি জায়গায় তা দেখা গেলেও সন্ধ্যা নাগাদ অবশ্য কেই বা কারা একটি খুলে নিয়ে গিয়েছে।

আজ, বৃহস্পতিবার ছটপুজো। তার ২৪ ঘণ্টায় আগেই মুকুলের প্রথম শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়া ফ্লেক্স দেখা যায়, মহানন্দা নদীর লালমোহন মৌলিক ঘাটে ঢোকার মুখে একটি ফাঁকা দেওয়ালে। তাতে মুকুল রায়ের ছবি। পাশে জ্বলন্ত প্রদীপের ছবি। তার পাশেই শুভেচ্ছাবার্তা। খুলে ফেলা ফ্লেক্সটির নিচে অবশ্য কিছু লেখা ছিল না। সন্ধ্যার আগেই আরেকটি ফ্লেক্স দেখা যায়, খোদ হিলকার্ট রোডে হাসমিচক এলাকায়। একই ফ্লেক্স সেখানেও রশি দিয়ে ঝোলানো হয়েছে। এখানে অবশ্য ফ্লেক্সের নিচে সৌজন্যে-শিলিগুড়ি নাগরিক মঞ্চ লেখা রয়েছে। এনজেপি গেটবাজারেও আরেকটি ফ্লেক্স দেখা গিয়েছে।

Advertisement

বিষয়টিকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে চাননি দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা বৈঠকে এসেছি। বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত আছি। আর কে কোথায় পতাকা না ব্যানার ঝুলিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে তাতে আমাদের কী! এই ফ্লেক্স নিয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চাই না।’’

কিন্ত কারা ফ্লেক্স ঝুলিয়েছে তা নিয়ে রহস্য রয়েছেই। এলাকার দোকানদারদের দাবি, ব্যস্ত রাস্তায় দিনভর অনেকেই পোস্টার, ফ্লেক্স বা ব্যানার ঝুলিয়ে চলে যায়। তা নিয়ে বিশেষ কেউ মাথা ঘামায় না। এখানেও কে কখন ফ্লেক্সগুলি ঝুলিয়ে তা কেউ খেয়াল করতে পারছেন না। তেমনিই, শিলিগুড়ি নাগরিক মঞ্চ নামের সংগঠনটি কোথায় রয়েছে। কারা তার সদস্য তা জানা যায়নি। এ দিন তৃণমূলের অধিকাংশ নেতানেত্রীই কলকাতার নজরুল মঞ্চে দলের কোর কমিটির বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ছিলেন। সেখানেই খবর পাওয়া মাত্র তাঁরা খোঁজখবর করেন। স্থানীয় স্তরের কয়েকজন নেতা এলাকায় গিয়ে ফ্লেক্সগুলি দেখেও আসেন। জেলা নেতাদের বিড়ম্বনা বাড়াতেই পরিকল্পিতভাবে এসব করা হয়েছে বলে তাঁদের অনুমান।

কয়েকজন জেলার নেতা জানান, মুকুল রায়ের সঙ্গে শিলিগুড়িতে এখন আর কেউ আছেন বলে মনে হয় না। দলের মধ্যে বিভ্রান্তি, সন্দেহের পরিবেশ তৈরি করতে পরিকল্পিতভাবে হয়ত কোনও সংস্থাগুলিকে নিয়ে ফ্লেক্সগুলি ঝোলানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, মুকুল রায়ের সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি হওয়ার সময় তৃণমূলের প্রাক্তন এই সাংসদ শিলিগুড়ি এলে, স্টেশনে তাঁর জন্য একাধিক গাড়ি পৌঁছে যেত। এমনকি, সফর শেষ করে ফেরার সব স্টেশনে পৌঁছাত টিফিন কৌটা। তাতে নুন দিয়ে ও নুন ছাড়া খাবার আলাদা করে রাখা থাকত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন