ডিমে নজর রাখবে কে

ডিম-বিড়ম্বনা চলছেই। রায়গঞ্জে যেমন অভিযান শুরুই করা যাচ্ছে না, মালদহে আবার মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরেও মিড-ডে মিলের মেনু থেকে বাদ পড়েছে ডিম।পশ্চিম দিনাজপুর জেলা ভেঙে উত্তর দিনাজপুর জেলা গঠনের পর আড়াই দশক কেটে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৮
Share:

পরীক্ষা: ইংরেজবাজারে ডিম পরীক্ষায় কাউন্সিলর। নিজস্ব চিত্র

ডিম-বিড়ম্বনা চলছেই। রায়গঞ্জে যেমন অভিযান শুরুই করা যাচ্ছে না, মালদহে আবার মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরেও মিড-ডে মিলের মেনু থেকে বাদ পড়েছে ডিম।

Advertisement

পশ্চিম দিনাজপুর জেলা ভেঙে উত্তর দিনাজপুর জেলা গঠনের পর আড়াই দশক কেটে গিয়েছে। অথচ জেলায় এখনও পর্যন্ত স্থায়ী খাদ্য নিরাপত্তা অফিসার নিয়োগ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে জেলায় ভেজাল ডিম বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করতে পারছে না জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ফুড কমিশনারের কাছে জেলায় একজন স্থায়ী ফুড সেফটি অফিসার চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন।

প্রকাশবাবু বলেন, ভেজাল ডিম চিহ্নিত করার মতো পরিকাঠামো জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নেই। তাই জেলায় ভেজাল ডিম বিক্রি হচ্ছে কি না, তা জানা যাচ্ছে না। প্রকাশবাবু বলেন, ‘‘রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জেলায় একজন স্থায়ী ফুড সেফটি অফিসার নিয়োগ করলে তাঁকে পর্যাপ্ত কর্মী দিয়ে সহযোগিতা করা হবে।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল ইসলামপুরের একটি ফাস্ট ফুডের দোকানে ভেজাল ডিম উদ্ধারের অভিযোগকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ায়। এরপর থেকে জেলার একাধিক হাই ও প্রাথমিক স্কুল কর্তৃপক্ষ মিড ডে মিলের মেনু থেকে ডিম বাতিল করে দেন। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ১৯৯২ সালের ১ এপ্রিল পশ্চিম দিনাজপুর জেলা ভাগ হয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা গঠনের পর থেকে এক জন ফুড সেফটি অফিসার কখনও দক্ষিণ দিনাজপুর আবার কখনও মালদহ জেলায় কর্মরত থেকে দুই দিনাজপুর ও মালদহে কাজ করছেন। ফলে সেই থেকে ওই ফুড সেফটি অফিসার বাকি দুই জেলার দায়িত্ব সামলে সপ্তাহে এক দিন করে উত্তর দিনাজপুর জেলায় এসে আবেদনকারী ব্যবসায়ীদের ফুড লাইসেন্স ও ফুড রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার কাজ করছেন। ফলে তাঁর পক্ষে ওই কাজ সেরে ভেজাল খাবার বিক্রি হচ্ছে কি না, তার জন্য জেলার ৯টি ব্লকের বিভিন্ন বাজার ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতায় পরীক্ষাগারে পাঠানো কার্যত অসম্ভব।

মুখ্যমন্ত্রী ডিম খাবার কথা বললেও সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য মালদহের ইংরেজবাজার শহরের প্রাইমারি ও হাইস্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের মেনু থেকে বাদ পড়েছে ডিম। মঙ্গলবার সেই ডিম নিয়ে নজরদারিতে কাউন্সিলর শুভময় বসু ও গায়ত্রী ঘোষের নেতৃত্বে একটি দল শহরের দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন বাজার, নেতাজি বাজারে ডিমের দোকানগুলিতে গিয়ে ডিম পরীক্ষা করেন। পরে শুভময়বাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন নির্ভয়ে ডিম খেতে। আমরাও সেটাই মানুষকে বোঝাচ্ছি।’’ ডিম নিয়ে নানা বিভ্রান্তি থাকায় কাল বৃহস্পতিবার শহরের সমস্ত প্রাইমারি ও হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে মিড ডে মিল রান্নার কাজে যুক্ত স্বনির্ভর দলের মহিলাদের নিয়ে টাউন হলে একটি সচেতনতা বৈঠক হবে। মালদহ মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্সও শনিবার জেলার ডিম ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছে তাদের বাণিজ্য ভবনে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement