ফেসবুকে পরিচয়, তার পর বিয়ে, সাত পাকে ঘোরার ১০ দিনের মধ্যে মালদহের যুবকের রহস্যমৃত্যু!

মৃত যুবকের নাম অজয় মণ্ডল। ২২ বছরের ওই যুবক পেশায় দিনমজুর। সমাজমাধ্যমে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল মাধবী দাস নামে এক তরুণীর। সেখান থেকে প্রেম এবং বিয়ে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:১৭
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দিন দশেক আগে বিয়ে হয়েছিল। তার পর কাজে গিয়েছিলেন যুবক। কাজ থেকে তিন দিন আগে বাড়িও ফেরেন। কিন্তু তার পর হঠাৎ নিখোঁজ। মঙ্গলবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বাড়ির অদূরের একটি আমবাগানে। মঙ্গলবার এ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কোনার গ্রামে। যুবকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। নববধূ জানাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে কোনও অশান্তি হয়নি। স্বামী অন্য কোনও কারণে আত্মহত্যা করেছেন না কি খুন হয়েছেন, তা নিয়ে তিনি ধন্দে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃত যুবকের নাম অজয় মণ্ডল। ২২ বছরের ওই যুবক পেশায় দিনমজুর। সমাজমাধ্যমে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল মাধবী দাস নামে এক তরুণীর। সেখান থেকে প্রেম। দুই বাড়ির কথাবার্তার পরে বিয়ে ঠিক হয়। তার পর দিন দশেক আগে সাত পাকে ঘোরেন ওই যুগল। পরিবার জানাচ্ছে, বিয়ের তিন দিন পরে কাজ করতে বাইরে গিয়েছিলেন অজয়। তিন দিন কাজ করার পরে আবার বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু দু’দিন আগে হঠাৎ করে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান যুবক। মঙ্গলবার গ্রামেরই একটি আমবাগান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।

মৃতের স্ত্রী মাধবী বলেন, ‘‘কাজের জন্য বাইরে ছিল। কয়েক দিন আগে বাড়ি চলে এসেছিল। তার পর দু’দিন ধরে ওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। আজ সবাই বলছে, ও নাকি গলায় দড়ি দিয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও অশান্তি হয়নি। অন্য কারও সঙ্গে কিছু ছিল কি না, জানি না। কী থেকে কী হল, কিছু বুঝতে পারছি না।’’ দেবাশিস মণ্ডল নামে কোনার গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, গ্রামে একটি বড় পুকুর আছে। মঙ্গলবার সেখানে মাছ ধরা হচ্ছিল। সেখানকার কারও নজরে পড়ে আমবাগানের একটি গাছে দেহ ঝুলছে। পরে জানা যায়, ছেলেটি অজয়। তিনি বলেন, ‘‘মাত্র ১০ দিন আগে বিয়ে করেছিল। খুব ভাল ছেলে। ওর কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা ছিল না। তাই আত্মহত্যা করেছে, না কি মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কারণ রয়েছে, বুঝতে পারছি না। পুলিশের তদন্তে কী বেরোয়, দেখা যাক।’’

Advertisement

অন্য দিকে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement