ফাইল চিত্র।
সন্ধ্যাবেলায় বন্ধুর ফোন আসতেই টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে বাড়ি বেরিয়ে যায় এক নাবালিকা। তার পর আর বাড়ি ফেরেনি সে। বৃহস্পতিবার উদ্ধার হয় তাঁর নগ্ন দেহ। পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাকে। মালদহের কালিয়াচক থানার জালুয়াবাধাল গ্রামপঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পরিবারের দাবি, বুধবার সন্ধ্যায় একটি ফোন আসার পরেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই নাবালিকা। টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোয় সে। অনেক রাতেও বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পর দিন সকালে সৈয়দপুর বিবিগ্রাম এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়।
অভিযোগ, মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এর পরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। দেহের পাশ থেকে নাবালিকার মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ছাত্রীর মোবাইল ফোনটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শেষ ফোনকলের একটি ভয়েস রেকর্ডিং মিলেছে। তাতে নাবালিকাকে বাড়ি থেকে বেরোতে বলছেন ফোনের ও পারে থাকা ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিকে, নাবালিকাকে তিনি কী ভাবে চেনেন, সেই সবই জানবান চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। নাবালিকা সত্যিই টিউশন পড়তে গিয়েছিল কি না, না কি অন্য কোথাও গিয়েছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। নাবালিকা যাঁর সঙ্গে শেষ বার ফোনে কথা বলেছেন, সেই কথোপকথনের একটি ভয়েস রেকর্ডিং আমাদের হাতে এসেছে ওই মোবাইল ঘেঁটে। কণ্ঠস্বর কার, আমরা খতিয়ে দেখছি। সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’