অনাস্থা / ১

জেলা পরিষদ দখলের পর নজর মানিকচকে

মালদহ জেলা পরিষদ দখলের পর এবার মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতি দখলের উদ্যোগ নিল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার সিপিআইয়ের এক সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে সিপিএম ও কংগ্রেস পরিচালিত মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাখি মণ্ডলের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৬ ০১:১২
Share:

মালদহ জেলা পরিষদ দখলের পর এবার মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতি দখলের উদ্যোগ নিল তৃণমূল কংগ্রেস।

Advertisement

শুক্রবার সিপিআইয়ের এক সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে সিপিএম ও কংগ্রেস পরিচালিত মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাখি মণ্ডলের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল তৃণমূল। এ দিনই সদর মহকুমা শাসকের কাছে ১৪ জনের সই করা অনাস্থার চিঠি জমা দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) দেবতোষ মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘অনাস্থার চিঠি জমা পড়েছে. পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’’

গত সোমবারই কংগ্রেস ও সিপিএমের সদস্যদের দলে টেনে নিয়ে মালদহ জেলা পরিষদ দখল করে শাসকদল। ওই ঘটনার রেশ না কাটতেই এ দিন সিপিএম ও কংগ্রেস পরিচালিত মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল তৃণমূল। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সংখ্যা ৩১ জন। এরমধ্যে সিপিএমের ১৪ জন, তৃণমূলের ১৩ জন, কংগ্রেসের ৩ জন ও সিপিআইয়ের ১ জন সদস্য। সিপিএম, সিপিআই ও কংগ্রেস সদস্যরা মিলে বোর্ড গঠন করেছিল। সিপিএমের রাখি সরকার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এক বছর আগেও তৃণমূলের সদস্যরা সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল। কিন্তু তলবি সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণিত না হওয়ায় অনাস্থা খারিজ হয়ে যায়।

Advertisement

এ দিন সিপিআইয়ের সদস্য গোপালচন্দ্র মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের ১৩ জন অর্থাৎ মোট ১৪ জন সদস্য অনাস্থা এনেছেন। তৃণমূলের দাবি, সিপিআইয়ের ওই সদস্য দলের প্রাক্তন সভানেত্রী ও মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের নেতৃত্বে এ দিনই দলে যোগ দেন। সাবিত্রীদেবী তাঁর হাতে দলীয় পতাকাও তুলে দেন।

অনাস্থার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাখিদেবী বলেন, ‘‘তৃণমূলীরা এর আগেও আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল। কিন্তু কিছুই করতে পারেনি। এখনও আমরা ১৭ জন একজোট রয়েছি। শাসকদল আবারও ব্যর্থ হবে।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়েই ঘোড়া-বেচাকেনার রাজনীতি চলছে। নৈতিকতার কোনও বালাই নেই। মালদহও এর বাইরে নয়, তবে এসব করে লাভ হবে না।’’ সাবিত্রী মিত্র বলেন, ‘‘আমরা দল ভাঙানোর খেলায় বিশ্বাসী নই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে উন্নয়নের জোয়ার দেখে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যরা আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। আমাদের আশা এবার অনাস্থা পাশ হবেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন