প্রতিদিনই লোক সংখ্যা বাড়ছে ডালখোলা শহরে। ব্যবসায়িক দিক থেকেও গুরুত্ব বেড়েছে শহরের। কিন্তু নিরাপত্তার জন্য এত দিন এলাকার ফাঁড়ির উপরই নির্ভর করতে হত এলাকার বাসিন্দাদের। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাদের দাবি মেনে থানা চালু হচ্ছে ডালখোলাতে। আজ, মঙ্গলবার কালিম্পঙ থেকে ডালখোলা থানার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, চাকুলিয়া ও করণদিঘির ৬ টি গ্রামপঞ্চায়েত ও ডালখোলা পুরসভা এলাকা নিয়ে ওই থানার তৈরি করা হয়েছে। সুভাষপল্লির টাউন হলে অস্থায়ী ভাবে ডালখোলা থানা তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে এক জন ইন্সপেক্টর, ১৫ জন সাব ইন্সপেক্টর ও সহকারী সাব ইন্সপেক্টর এবং ৩৪ জন কন্সটেবল থাকবেন। ইসলামপুরের এসডিপিও কুন্দর ভূষন সিংহ বসেন, চাকুলিয়া, ডালখোলা ও করণদিঘির এলাকা নিয়েই থানাটি তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সেই থানার উদ্বোধন করবেন। আপাতত টাউন হলে থানা চালু হলেও জমি পেলেই নতুন জায়গায় ভবন তৈরি হবে।
বিহার বাংলা সীমান্ত এলাকা হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে বরাবরই চিন্তিত এলাকার মানুষ। পাম্পের নিরাপত্তা রক্ষীকে গুলি করে লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই, নার্সারি স্কুলের ছাত্রীকে স্কুল থেকে অপহরণ, এলাকার সব্জি ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, ফাঁড়িতে ঢুকে পুলিশ কর্মীদের উপর চড়াও হওয়ার ঘটনায় সেই চিন্তা বেড়েছে আরও। ডালখোলা এলাকায় কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয়। এলাকাতে ব্যাঙ্কের সংখ্যা প্রায় ১১টি। ডালখোলা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজেশ গুপ্ত বলেন, ‘‘ডালখোলা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, ওয়েস্ট দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্সের দীর্ঘদিন ধরে থানা তৈরির দাবি জানিয়ে আসছিল।
সেই দাবি পূরণ হওয়ায় এলাকার মানুষ খুশি।’’ ডালখোলা পুরসভার চেয়ারম্যান সুভাষ গোস্বামী বলেন, ‘‘বাম আমলের ৩৪ বছরেও এলাকাতে থানা তৈরি হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থানা তৈরি করে দেখিয়ে দিলেন। এখানকার মানুষের নিরাপত্তা বাড়বে।’’