ফাইল চিত্র।
দীপাবলী, ভাইফোঁটার মুখে কোচবিহারে মিষ্টি বাজারের নয়া চমক ‘কন্যাশ্রী’ ও ‘বন্যাশ্রী’ সন্দেশ।
ফি বছর দুর্গাপুজো থেকে জামাইষষ্ঠী-বিক্রেতাদের অনেকেই আগে নতুন মিষ্টি, সন্দেহ তৈরি করেছেন। তাঁরাই জানাচ্ছেন, এ বারের মত ‘জোড়া’ চমক খানিকটা নজিরবিহীন। থিম ভাবনার অভিনবত্বেও মজেছেন ক্রেতারা। তাদের অনেকে আগাম চেখে দেখছেন নতুন নামের রকমারি ওই সন্দেশ। কালীপুজো, ভাইফোঁটার দিনগুলিতে এমন থিম সন্দেশের চাহিদা আরও বাড়বে বলে বিক্রেতারা আশাবাদী।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কন্যাশ্রী অনন্যা নামে যে সন্দেশ করা হয়েছে, একই উপকরণে করা হয়েছে বন্যাশ্রী সন্দেশও। শুভ দীপাবলী, বিশ্ব বাংলা সন্দেহও তৈরি করা হয়েছে। আগে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ লেখা সন্দেশও বাজারে সাড়া ফেলেছিল। জামাই ষষ্ঠীতে বাজার মাতিয়েছে জামাই গোল্লা। এ ছাড়াও মাওয়া প্যাটিস, ল্যাংচা, ক্ষীর দই , চমচম সহ নানা সামগ্রী বাজারের আকর্ষণ বাড়িয়েছে। তালিকায় সুগার ফ্রি সন্দেহ থেকে সুগার ফ্রি দই কী নেই! এক বিক্রেতার কথায়, শুভদিনে শারীরিক সমস্যা যাতে ভাইদের রসনা তৃপ্তির বাধা না হয় সেজন্য সুগার ফ্রি আইটেম রাখায় জোর দেওয়া হয়েছে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে সাড়া ফেলেছে কন্যাশ্রী অনন্যা আর বন্যাশ্রী ছাপের নতুন সন্দেশ।
এমন নামকরণ কেন? কোচবিহার জেলা মিস্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বাপ্পা বণিক বলেন, “কন্যাশ্রী প্রকল্প বিশ্বের দরবারে সেরার সেরা শিরোপা জিতেছে। সেকথা মাথায় রেখেই ওই নামকরণ। আনন্দের দিনেও বৃষ্টিতে মাটি হওয়া দুর্গাপুজো, বন্যা দুর্গতদের মনে রাখতে করা হয়েছে বন্যাশ্রী সন্দেশ। আর মাটির প্রদীপের ব্যবহার যেহেতু দীপাবলীতে কমছে তানিয়ে শুভদীপাবলী সন্দেশে বার্তা দেওয়া হয়েছে।” তিনি জানিয়েছেন, বাজারে সবেতেই এখন থিমের ছড়াছড়ি।তাই ওই জোয়ারে সামিল হতে চাইছেন তাঁরা। দুধ, ক্ষীরের পাকে তৈরি সন্দেশ ১০-১৫ টাকা প্রতি পিস দরে বিক্রি করা হচ্ছে।