শিশুর দেহ মুখে নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরছিল কুকুরটি। শিশু পাচারের অভিযোগ নিয়ে হইচইয়ের মাঝে শনিবার সকালে জলপাইগুড়ি শহরের হাকিমপাড়া এলাকায় এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা কুকুরটির কাছে ছুটে গিয়ে কোনওভাবে শিশুটিকে কুকুরের মুখ থেকে সরিয়ে দেন৷ খবর দেওয়া হয় পুলিশে৷ পুলিশ গিয়ে মৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়৷
হাকিমপাড়ায় যে জায়গা শিশুটি মিলেছে তার থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে একটি নার্সিংহোম রয়েছে৷ কাছেই জলপাইগুড়ি হাসপাতাল৷ প্রাথমিক পরীক্ষার পরে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রথমে ভ্রুণ ভাবা হলেও দেখা গিয়েছে শিশুটির দেহ পরিণত। শিশুটি সম্পর্কে আরো জানতে তার ভিসেরা পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গেছে৷ তবে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান এটি গর্ভপাতের ঘটনা হতে পারে৷ সেজন্য ঘটনাস্থলের কাছে নার্সিংহোমটিতেও তদন্তে গিয়েছে পুলিশ৷ যদিও নার্সিংহোমের সহকারী ম্যানেজার সুজয় রায় বলেন, ‘‘আমাদের এখানে গর্ভপাতের কোন প্রশ্নই ওঠে না৷ দুই-একদিনের মধ্যে কোন সদ্যোজাতও মারা যায়নি৷ পুলিশকে আমরা সব কাগজ-পত্র দেখিয়েছি৷’’
জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ২ দিনের মধ্যে হাসপাতালে কোনও সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়নি। তা হলে শিশুটি এল কোথা থেকে? জলপাইগুড়ি পুরসভার স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কাবেরি চক্রবর্তীও উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব৷’’ জলপাইগুড়ি শিশু কল্যাণ কমিটির চেয়ারপার্সন বেবি উপাধ্যায় বলেন, ‘‘তদন্তে পুলিশ কি পায় সে ব্যাপারে রিপোর্ট পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব৷’’ ঘটনাটি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছে জলপাইগুড়ি শিশু সুরক্ষা কমিটিও।