রহস্য: ১

হেমতাবাদে ছাত্রীকে কোপানোয় ধরা পড়েনি কেউই

দশম শ্রেণির ছাত্রীর উপরে হামলার পরে পেরিয়েছে দু’দিন। এখনও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অপরাধীরা ধরা না পড়ায় তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই কিশোরীর পরিজন-পড়শিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৬ ০২:৫৬
Share:

দশম শ্রেণির ছাত্রীর উপরে হামলার পরে পেরিয়েছে দু’দিন। এখনও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অপরাধীরা ধরা না পড়ায় তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই কিশোরীর পরিজন-পড়শিরা।

Advertisement

শনিবার গভীর রাতে বাড়ির মনসা মন্দিরের সামনে থেকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। তার ঘাড়ে ও গলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত ছিল। এখন ওই ছাত্রী উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। রবিবার দুপুরে ওই ছাত্রীর মা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেও কারও নাম উল্লেখ করেননি। সোমবার হেমতাবাদ ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় দত্ত হেমতাবাদ থানার ওসির সঙ্গে দেখা করে দ্রুত ওই ঘটনার কিনারা করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘‘বাসিন্দারা চাইছেন পুলিশ দ্রুত ওই ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুক। দলের তরফে ওসিকে সেই দাবিই জানিয়েছি।’’

পুলিশ জানিয়েছে, রাতে ওই ছাত্রী তার মায়ের সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমিয়েছিল। ঘরের মেঝেতে ঘুমিয়েছিলেন জখম ছাত্রীর দিদি। বাইরে বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেন তার বাবাও। এই পরিস্থিতিতে গভীর রাতে ওই ছাত্রী ঘর থেকে বাইরে বেরোনোর পর তার উপর দুষ্কৃতীরা হামলা চালাল, কিন্তু কেউ বিষয়টি টের পেলেন না, এটাই রহস্যজনক। হেমতাবাদ থানার ওসি মনোজিত দাসের দাবি, ‘‘তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে। শীঘ্রই রহস্যের কিনারা করে অভিযু্ক্তদের গ্রেফতার করা হবে।’’

Advertisement

তিনি জানান, পুলিশ আপাতত অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করলেও ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ছাত্রীর মা বলেন, ‘‘কারা, কী কারণে মেয়ের উপর হামলা চালালো সে বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। আমরাও চাইছি পুলিশ রহস্যের কিনারা করে দোষীদের গ্রেফতার করুক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement