ষোলো বছরেও নেই এসিজেএম, হতাশ মালবাজার

মহকুমা গঠনের পরে কেটে গিয়েছে ষোলো বছর। কিন্তু এখনও মালবাজারে অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালত বা এসিজিএম আদালতের পরিকাঠামো শুরু হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালবাজার শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:০২
Share:

মহকুমা গঠনের পরে কেটে গিয়েছে ষোলো বছর। কিন্তু এখনও মালবাজারে অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালত বা এসিজেএম আদালতের পরিকাঠামো শুরু হয়নি।

Advertisement

মহকুমার তিন থানা মালবাজার, মেটেলি ও নাগরাকাটার মতো প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরের জলপাইগুড়ির জেলা আদালতে অভিযুক্তদের পাঠাতে হচ্ছে। এতে যেমন নিরাপত্তাজনিত সমস্যা রয়েছে তেমনি এসিজিএম আদালত না হওয়ায় তীব্র হতাশাও তৈরি হয়েছে মালবাজার মহকুমার আইনজীবি ও ল ক্লার্কদের মধ্যে। মহকুমা হওয়ার পরে মালবাজারে হয়েছে জেলার অতিরিক্ত দায়রা আদালত। যেখানে শুধু বন্দিদের বিচারপর্বের কাজটুকু চলে। কিন্তু গ্রেফতার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে এখানে হাজির করা যায় না। গত দু’বছর ধরে মালবাজারে এসিজিএম আদালত তৈরির কাজ শুরু হয়। মালবাজারের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আদালতের জন্য দ্বিতল ভবনও গড়ে ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি, রেজিস্ট্রাররা একাধিক বার সেই ভবন পরিদর্শনেও এসেছেন। কোথায় বিচারপতিরা বসবেন, কোথায় অভিযুক্তদের রাখার ব্যবস্থা থাকবে সেই বিষয়ে তাঁরা পরামর্শও দিয়েছেন। ভবন নির্মাণ হয়ে গেলেও বাকি কাজ আর এগোচ্ছে না বলে অভিযোগ।

পূর্ত দফতর থেকে কাজের বরাত দেওয়া হলেও অভিযুক্ত বা বন্দিদের রাখার হাজত ও রেকর্ডরুম এখনও তৈরি হয়নি। ভবনটির পাশেই জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সুপারমার্কেট কমপ্লেক্সের ওপরে আগে মহকুমাশাসকের পূর্ণাঙ্গ দফতর ফাঁকা পড়ে। ওই কমপ্লেক্সের উপর তলার ঘরগুলিতেই আদালতের রেকর্ডরুম ও হাজত তৈরি করা যেতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন আইনজীবিরা। আইনজীবি রাজকুমার গুপ্তা ও মহিমারঞ্জন পাল দ্রুত পরিকাঠামো গড়ে কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। রাজ্য ল ক্লার্ক সংগঠনের মালবাজার ইউনিটের সম্পাদক সৌমেন বসু বলেন, ‘‘আমরা অনেক বার
দাবি জানিয়েছি।’’

Advertisement

ক্ষোভ ছড়িয়েছে মালবাজার পুরসভাতেও। পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা অসুবিধের কথা জানাতে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন। বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে আইনি পরিষেবা পৌঁছে দিতে মালবাজার মহকুমা জুড়ে নানা অনুষ্ঠান করে বেড়ান দার্জিলিঙ জেলা লিগাল এইড ফোরামের সম্পাদক অমিত সরকার। মালবাজার এলাকায় পূর্ণাঙ্গ আদালত তৈরির দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন তিনিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন