উদ্বোধন হয়েছে তিন বছর, চালু না হওয়ায় আগাছায় ভরেছে চারপাশ

সাজানো কটেজে মেলে না বুকিং

আগাছায় ভরেছে বনদফতরের তিনটি সুদৃশ্য কটেজ। অথচ বছর তিনেক আগে বনমন্ত্রী কটেজগুলো উদ্বোধন করে গিয়েছেন। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের নিমতি রেঞ্জের সামনে জঙ্গলে ঘেরা ওই কটেজের চাহিদা থাকলেও বুকিং মেলে না বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ০১:৪৯
Share:

পরিত্যক্ত: আগাছার জঙ্গল নিমতির কটেজে। —নিজস্ব চিত্র।

আগাছায় ভরেছে বনদফতরের তিনটি সুদৃশ্য কটেজ। অথচ বছর তিনেক আগে বনমন্ত্রী কটেজগুলো উদ্বোধন করে গিয়েছেন। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের নিমতি রেঞ্জের সামনে জঙ্গলে ঘেরা ওই কটেজের চাহিদা থাকলেও বুকিং মেলে না বলে অভিযোগ। কারণ উদ্বোধনের পরে আজও সেখানে পর্যটকদের জন্য তৈরি হয়নি রান্নাঘর। ফলে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে কটেজ।

Advertisement

বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন জানান, ‘‘এখনও যে চালু হয়নি, সে কথা তো জানা নেই। রান্নাঘর যাতে দ্রুত তৈরি হয়, তার জন্য ডিএফডির সঙ্গে কথা বলব।’’

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি কল্যাণ রাই জানান, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি, শুধু গাফিলতির জন্য চালু হয়নি। তাঁদের প্রশ্ন, যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডুয়ার্সে পর্যটন প্রসারের জন্য নানা প্রকল্প নিচ্ছেন সেখানে কেন কটেজ তৈরির পরেও চালু হবে না।

Advertisement

পর্যটন সংস্থার তরফে বিপ্লব দে জানান, নিমতি রেঞ্জ অফিস ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের খুব কাছেই। এই জায়গাটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকেরা জলদাপাড়া, বক্সা জঙ্গল, জয়ন্তী, বক্সা পাহাড় ও ভুটানের ফুন্টশেলিং ঘুরতে পারবেন। তা ছাড়া জঙ্গলের মাঝে কটেজ হওয়ায় রাতের রোমাঞ্চই আলাদা। রান্নাঘর হয়ে গেলে সেখানে কর্ম সংস্থান হতে পারে স্থানীয়দের।

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের ফ্রেবুয়ারি মাসে তিনটি কটেজ তৈরি করে বন উন্নয়ন নিগম। পরে তা বন দফতরের তরফে হস্তান্তর করা হয় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পকে। পর্যটকদের থাকার জন্য খাট, ড্রেসিং টেবিল-সহ কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী কিনে সাজানো হয়। ঘটা করে উদ্বোধন করেন মন্ত্রী, তার পর আর কেউ খোঁজ নেয়নি। একটি ডাইনিং হল কাম কিচেনের জন্য আটকে রয়েছে বুকিং। বনকর্তাদের উদাসীনতায় আপাতত আগাছায় ছেয়ে গিয়েছে কটেজগুলো।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন