পঞ্চানন বর্মা

আবেদন পড়েনি, ৩ পদে ফের বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছিল প্রায় আট মাস আগে। কিন্তু পরীক্ষা নিয়ামক ও ফিনান্স অফিসার পদের জন্য কোনও আবেদনই জমা পড়েনি। রেজিস্ট্রার পদের জন্য যে আবেদন জমা পড়েছে তাতে প্যানেল তৈরি করা যায় না। এমনটাই জানিয়ে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সমস্ত পদ পূরণে ফের নতুন করে বিজ্ঞাপন প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:০৮
Share:

বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছিল প্রায় আট মাস আগে। কিন্তু পরীক্ষা নিয়ামক ও ফিনান্স অফিসার পদের জন্য কোনও আবেদনই জমা পড়েনি। রেজিস্ট্রার পদের জন্য যে আবেদন জমা পড়েছে তাতে প্যানেল তৈরি করা যায় না। এমনটাই জানিয়ে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সমস্ত পদ পূরণে ফের নতুন করে বিজ্ঞাপন প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার কার্যকরী সমিতির বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অমল হোড় বলেন, “ওই পদগুলির জন্য নতুন বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।” একই কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী কমিটির সদস্য বাংলা বিভাগের অধ্যাপক দিলীপ রায়। সোমবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব নেবেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, দ্বিতীয় শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই শিক্ষক ও আধিকারিক পদ তৈরি হয় কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে সময় শিক্ষক ও আধিকারিক পদের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে আবেদন পত্র জমা নেওয়া শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রথম থেকেই বি়জ্ঞাপনের জবাবে তেমন সাড়া মেলেনি। বর্তমানে ২১ জন শিক্ষক রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাকি আরও ৩৫টি পদের জন্যও নতুন করে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। কিন্তু তখন পরীক্ষা নিয়ামক ও ফিনান্স অফিসার পদের জন্য নতুন করে আর বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি। এ দিকে ওই পদগুলিতে কেন নিয়োগ করা হচ্ছে না তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। শিক্ষকদের একটি অংশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ তোলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেই জানানো হয়েছে, গত বছরের মে মাসে আধিকারিক পদ পূরণে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। ওই তিন পদের জন্য আবশ্যক যোগ্যতা কমপক্ষে কলেজের অধ্যক্ষ বা কোনও সরকারি আধিকারিকের পদে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা। পরীক্ষা নিয়ামক ও ফিনান্স অফিসার পদের জন্য কেউ আবেদন করেননি। রেজিষ্ট্রার পদের জন্য অবশ্য তিন জন অধ্যক্ষ আবেদন করেছিলেন। প্যানেল তৈরিতে কমপক্ষে চারজন আবেদন করতে হবে। তাই ওই নিয়েও সমস্যা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক বলেন, “সাধারণ ভাবে কলেজের অধ্যক্ষ পদে চাকরির মেয়াদ ৬২ বছর। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার পদে চাকরির মেয়াদ ৬০ বছর। তাই অনেকে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন