প্রধান শিক্ষক নেই বহু প্রাথমিক স্কুলেই

স্থায়ী প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে জলপাইগুড়ির অধিকাংশ প্রাথমিক স্কুল৷ বিরোধীদের অভিযোগ, জেলার দুই-তৃতীয়াংশ প্রাথমিক স্কুলেই এই মুহূর্তে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নেই৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৭ ০২:২১
Share:

স্থায়ী প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে জলপাইগুড়ির অধিকাংশ প্রাথমিক স্কুল৷ বিরোধীদের অভিযোগ, জেলার দুই-তৃতীয়াংশ প্রাথমিক স্কুলেই এই মুহূর্তে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নেই৷ বছরের পর বছর ধরে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ থাকায়, উপযুক্ত হয়েও অনেক শিক্ষকের পদোন্নতি হচ্ছে না। শিক্ষা দফতরের কর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই জেলার প্রধান শিক্ষকদের শূণ্যপদ পূরণ করা হবে৷

Advertisement

জেলায় প্রায় বারোশো প্রাথমিক স্কুল রয়েছে৷ বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন এবিপিটিএ-র অভিযোগ, এর মধ্যে আটশোর ওপর স্কুলে এই মুহূর্তে প্রধান শিক্ষকের পদ ফাঁকা৷ সংগঠনের জেলা সম্পাদক বিপ্লব ঝা বলেন, ‘‘জেলায় শেষবার প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলে ২০১২ সালে৷ সেই অনুযায়ী ২০১৩-র মাঝামাঝি পর্যন্ত বিভিন্ন স্কুলে শূন্যপদ পূরণ করা হয়৷ তারপর হয়নি৷’’ ফলে আটশোর ওপর স্কুলে অনেকে প্রায় চার বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন৷ অথচ, নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাসের বেশি যা করা যায় না৷

বিরোধীদের আরও অভিযোগ, উপযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও স্রেফ নিয়োগ বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষকই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে অবসর নিতে বাধ্য হচ্ছেন৷ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি না হওয়ায় চাকরিত অবস্থায় তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন, তেমনি অবসরের পর পেনশনের সময়েও তাঁদের সেই ক্ষতি হচ্ছে৷

Advertisement

শূন্যপদ পূরণের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূলপন্থী শিক্ষক সংগঠনও৷ তবে তাঁদের হিসেবে অবশ্য এই মুহূর্তে জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে দুই-তৃতীয়াংশ নয়, বরং অর্ধেকের বেশি ফাঁকা৷ পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্মল সরকার বলেন, ‘‘যতদূর জেনেছি, প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকাতেই এত দিন ধরে প্রধানশিক্ষকের পদ ফাঁকা থেকেছে৷ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে (প্রাথমিক) স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে৷’’

এ দিকে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) তৃপ্তি গুহ বলেন, ‘‘জেলার অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়েই প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। কেন এতদিন তা পূরণ হয়নি তা বলতে পারব না৷ তবে খুব শীঘ্রই তা পূরণ শুরু হবে সেটা বলতে পারি৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন