সেই নাচের স্কুল। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
দুই মাস ধরে নিখোঁজ সঙ্গীতা কুণ্ডু যে ফ্ল্যাটে থাকত সেখানে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই নাচের স্কুল চলত বলে অভিযোগ। শহরের নাচের স্কুলের ব্যবসা করার ক্ষেত্রে পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক। অথচ ওই ফ্ল্যাটে বিনা লাইসেন্সে নাচের স্কুল চলত বলে জানতে পেরেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। শহরে আরও যে সব নাচের স্কুল চলে সেগুলির ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কার নামে ওই নাচের স্কুলটি চলত, তা পরিষ্কার নয় পুরসভা বা পুলিশের কাছে।
পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের মেয়র পারিষদ কমল অগ্রবাল বলেন, ‘‘ওই নাচের স্কুলের কোনও ট্রেড লাইসেন্স নেই। ডেভিলস ড্যান্স ওয়ার্ল্ড নামে স্কুলটি ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। পুরসভার নথিতে ওই ঠিকানায় ওই নামের স্কুলের কোনও ট্রেড লাইসেন্স নেই।’’ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও জানতেন না সেখানে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া নাচের স্কুল চলে বলে। ওই ফ্ল্যাটে বছরখানেক ধরে থাকতেন সঙ্গীতা। বাসিন্দাদের একাংশই জানান, বছর খানেক আগে পরিমল সরকার ফ্ল্যাটটি কেনেন। সেখানই থাকতেন সঙ্গীতা। পরিমলবাবুর মাল্টি জিমের সামগ্রী বিক্রির শোরুমে কাজ করতেন বলে সেখানকার কর্মীদের একাংশই জানিয়েছেন। নাচের স্কুলটির ট্রেড লাইসেন্স নেই কেন সে ব্যাপারে জানতে পরিমলবাবুকে মোবাইলে ফোন করা হলে রিং বেজে গিয়েছে। কেউ ফোন ধরেননি।
নাচের স্কুলটি সঙ্গীতার ছিল না তিনি দেখভাল করতেন, তা পরিষ্কার নয় পুলিশের কাছেও। পরিমলবাবুর অন্তত তিনটি মাল্টিজিম, মাল্টিজিমের সামগ্রী বিক্রির তিনটি শোরুম রয়েছে শিলিগুড়ি শহরে। সেগুলির বৈধ লাইসেন্স রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
যে ভবনে নাচের স্কুলটি চলত সেখানে কারা আসতেন, নাচের স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনও নথি রাখা হত কি না, তা-ও দেখার দাবি উঠেছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন সপ্তাহে দুই দিন স্কুল চলত। নাচ চলাকালীন কেউ যাতে ভিতরে না ঢোকেন সে জন্য দরজার বাইরে একটি নোটিশও লেখা রয়েছে। ওই ভবনের অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের একাংশ জানান, সঙ্গীতা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই স্কুলটিও বন্ধ রয়েছে। এলাকার কাউন্সিলর রাগিণী সিংহ বলেন, ‘‘পুলিশ কেন হদিশ করতে পারছে না? উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের সুপারিশ করুক।’’