সকাল হতেই ক্যাপ ফাটার আওয়াজে কান পাতা দায়। খেলনা পিস্তল হাতে হইহই করে দৌড়ে বেড়াচ্ছে শিশুদের দল। পুজো মণ্ডপগুলি হয়ে গিয়েছে তাদের যুদ্ধক্ষেত্র। জেলার গ্রামে গ্রামে এখন এটাই চেনা দৃশ্য। শহরাঞ্চলে এমন ছবি ততটা চোখে না পড়লেও বিকেল পড়তেই শিশুদের ভিড় চোখে পড়ছে পাড়ার পুজো মণ্ডপগুলিতে।
হাতে গোনা কয়েকদিন বাকি থাকলেও জাঁকিয়ে বসেছে পুজোর আমেজ। পুজোর আগে শেষ রবিবারে পুজোর প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। পুজোর বাজার থেকে শুরু করে মণ্ডপ বা আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে প্রতিমা, সব কিছুতেই এখন শেষ সময়ের ব্যস্ততার ছাপ। চালতাতলা যুব সঙ্ঘ, পান্থশালা, পুরনো পোস্ট অফিস পাড়া থেকে খাগড়াবাড়ি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি সব মণ্ডপেই কাজ প্রায় শেষের পথে।
‘‘পুজোয় সবথেকে বেশি আনন্দ হয় ছোটদের, তাই তাদের পুজো এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে’’, বললেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এবার জেলা ও জেলার বাইরে পঞ্চাশটিরও বেশি পুজোর উদ্বোধন করবেন তিনি।
কোচবিহার শহরের চালতাতলা যুব সঙ্ঘের এবার পঞ্চাশ বছর। তাই সব দিক থেকেই ওই পুজো আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টায় পুজো উদ্যোক্তারা। এ দিন গিয়ে দেখা গেল পাটি ও বাঁশ দিয়ে তৈরি মণ্ডপের কাজ প্রায় শেষের পথে। চন্দননগরের আলোকসজ্জা নিয়ে এসেছেন তাঁরা। সেই আলোতে জিরাফ থেকে শুরু করে প্রজাপতি, মাছ, ব্যাঙ, ফুল, ফুটে উঠবে। সেই কাজও বেশিরভাগটাই শেষ। পুজো কমিটির সম্পাদক অসিত ঘোষ বলেন, “এবারে তিনটি বিষয়ে বিশেষত্ব রয়েছে আমাদের।’’ যা দর্শকদের মুগ্ধ করবে বলে আশা তাঁর। খাগড়াবাড়িতে হোগলা পাতা দিয়ে মুম্বইয়ের তাজ হোটেল তৈরি হছে। তা দেখতে ভিড় করছে শিশুরা।
দিনহাটার নাজিরহাট, বুড়িরহাট, গীতালদহ বা সিতাইয়ের কোনও গ্রাম, সব জায়গাতেই চরমে পুজো উন্মাদনা। কোচবিহার শহর সংলগ্ন হরিণচওড়া, ঘুঘুমারি, কদমতলা, টাপুরহাট, পানিশালা সব জায়গার মণ্ডপেই দেখা গেল ছোটদের ভিড়।