শব্দবাজি রুখতে সতর্কতা

জেলায় নিষিদ্ধ শব্দবাজির রমরমা রুখতে ত্রিমুখী নজরদারিতে নামল উত্তর দিনাজপুর পুলিশ। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৫২
Share:

নিষিদ্ধ শব্দবাজির সম্ভার। ফাইল চিত্র।

জেলায় নিষিদ্ধ শব্দবাজির রমরমা রুখতে ত্রিমুখী নজরদারিতে নামল উত্তর দিনাজপুর পুলিশ।

Advertisement

লাগোয়া বিহারের পূর্ণিয়া, কিসানগঞ্জ ও বারসই এলাকায় একাধিক নিষিদ্ধ শব্দবাজির কারখানা রয়েছে। প্রতিবছরের মতো এ বছরও দীপাবলির মুখে সেইসব কারখানা থেকে চোরাপথে জেলায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি ঢুকছে। কিছুদিন আগে গোয়েন্দা সূত্রে (ডিআইবি) এই তথ্য পেয়ে বিহার পুলিশকে সেইসব কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর অনুরোধ করেছে জেলা পুলিশ। ডিআইবির আরও সন্দেহ, জেলার ডালখোলা, চাকুলিয়া, গোয়ালপোখর, ইসলামপুর, রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় কোথাও ধূপকাঠি, কোথাও মোমবাতির কারখানার আড়ালে নিষিদ্ধ শব্দবাজি তৈরি হচ্ছে। এছাড়া, অন্য জেলা থেকেও নিষিদ্ধ শব্দবাজি ঢুকছে দেদার।

এই পরিস্থিতিতে প্রতিবছরের মতো এবারও পুলিশ জেলার দশটি থানা এলাকার ৩৪ ও ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ বিভিন্ন রেলস্টেশনে পুলিশ তল্লাশি ও নজরদারি চলছে। জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের দাবি, দীপাবলির মুখে বিহার-সহ কলকাতা ও ভিনরাজ্য থেকে জেলায় নিষিদ্ধ শব্দবাজির প্রবেশ রুখতে জেলার দশটি থানা এলাকার জাতীয় ও রাজ্য সড়ক-সহ বিভিন্ন রেল স্টেশনে পুলিশের নজরদারি ও তল্লাশি জারি রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত জেলায় নিষিদ্ধ শব্দবাজির কারখানার হদিস মেলেনি। জেলা ডিআইবির এক কর্তার দাবি, ডালখোলা, চাকুলিয়া, গোয়ালপোখর, ইসলামপুর, রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকার ৮ থেকে ১০টি ধুপকাঠি ও মোমবাতি কারখানার উপর পুলিশের নজর রয়েছে। প্রতিবছর দীপাবলির আগে সেইসব কারখানায় গোপনে নিষিদ্ধ শব্দবাজি তৈরির কাজ চলে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। নয়তো পুলিশের এত নজরদারি ও তল্লাশির পরেও প্রতিবছর দীপাবলিতে জেলায় দেদার শব্দবাজি ফাটানো সম্ভব নয় বলে ডিআইবির ধারণা।

Advertisement

পুলিশের তরফে রায়গঞ্জে আতসবাজি বাজার চালু করা হয়। ওই বাজারের বাইরে পুলিশ খাতায়-কলমে সমস্ত ধরনের আতসবাজি বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দীপাবলির একদিন আগে থেকে টানা তিনদিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেদার নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো হয় বলে অভিযোগ। রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, প্রতিবছরই দীপাবলিতে জেলা জুড়ে নিষিদ্ধ শব্দবাজির দাপটে বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েন। কোথা থেকে এত শব্দবাজি জেলায় ঢোকে, ওই কারবারের পিছনে কাদের মদত রয়েছে, তা পুলিশের দেখা উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন